বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৫ অপরাহ্ন
মো: রবি উদ্দিন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গল সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় ১২ জানুয়ারি ভোরে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হওয়া বাড়ি দুটি পরিদর্শন করেন ইউকের সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এহেতশাম হক।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সবুজবাগ আবাসিক এলাকার মানিক মোদক ও বিষু ঘোষ (মিস্ত্রী) বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বাড়ি দুটি পরিদর্শন করেন ইউকের সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এহেতশাম হক।
এসময় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া মানিক মোদকের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে বলেন বলেন, আমরা বাবা একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বাবার স্বল্প আয়ে কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। কিন্তু আগুনে পুড়ে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার বাবা একটি এনজিও থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ এনে সংক্রান্তী উপলক্ষে তিলুয়া,বাতাসা, মিষ্টি মুড়ি, তিলের খাজা, মেলায় বিক্রির জন্য তৈরি করে রাত ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ভোরের দিকে ধোঁয়া দেখে ঘর থেকে মা-বাবা আমি ও বোনসহ আমরা কোনো রকমে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণ রক্ষা করি। কিন্তু চোখের সামনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। নগদ টাকাসহ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।”
এমন সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ইউকের সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এহেতশাম হক। আমরা উনার কাছে কৃতজ্ঞ।
পাশের বিষু ঘোষের একটি খালি বসতঘরও আগুনে পুড়ে যায়। বিষু ঘোষ জানান, তার ঘর পুড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ইউকের সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য এহেতশাম হক বলেন,আমি এই অসহায় পরিবারগুলোর খবর পাই আপনার এলাকার সন্তান প্রীতম দাদার মাধ্যমে। খবর পেয়ে আর বসে থাকতে পারিনি। নিঃস্ব সহায়-সম্বলহীন হয়ে যাওয়া মানুষ গুলোকে এক নজর দেখতে চলে আসি শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজবাগ এলাকায়। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানিক মোদক ও বিষু ঘোষ এর পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে আর্থিকভাবে সহায়তা করার কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য পিয়াস দাশ, চয়ন চন্দ, বাপ্পি রায়সহ এলাকার যুব সমাজরা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।