আহমেদ জসীম খান ( লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) রাজা লক্ষ্মী নারায়ণের নামানুসারে এ জেলার নামকরণ করা হয়। এ জেলার আয়তন ১৪৫৬ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৮৪ সালে নোয়াখালী জেলা থেকে বিভক্ত হয়ে লক্ষ্মীপুর জেলায় রুপান্তরিত হয়। লক্ষ্মীপুর জেলার উত্তরে চাঁদপুর, দক্ষিনে নোয়াখালী, পূর্বে নোয়াখালী, পশ্চিমে ভোলা ও বরিশাল। এ জেলা ৫ টি উপজেলা এবং ১ টি থানা নিয়ে গঠিত। সদর, কমলনগর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি এবং চন্দ্রগঞ্জ। মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীকে ঘিরে লক্ষ্মীপুর। এ জেলায় ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্হান গুলো হচ্ছে : আলেকজান্ডার মেঘনা বীচ, কমরেড তোয়াহা স্মৃতিসৌধ, কমলা সুন্দরী দীঘি, দত্তপাড়া কালীমাতা দেবোত্তর ও মোহনগঞ্জ আশ্রম, মেঘনা নদী, রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এশিয়ায় বৃহত্তম) শাহাপুর নীল কুঠিবাড়ী, হরিশচর দরগাহ, শ্রীরামপুর রাজবাড়ি (রামগঞ্জ), ঐদারা দিঘি, খোয়াসাগর দিঘি, শ্রী জিউ কুঠি আখড়া, রামগতির রাণী ভবানী কামদা মাঠ,শহরের তিতাখাঁ জামে মসজিদ, মজুপুর মটকা মসজিদ,আব্দুল্লাহপুর জামে মসজিদ,দালালবাজারের জমিদার বাড়ী, রায়পুরের জ্বীনের মসজিদ। লক্ষ্মীপুর জেলার মানুষ সর্বদা ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে সচেতন।তারা তাদের অর্থনৈতিক অবস্হা ও ভালভাবে বেঁচে থাকতে প্রচন্ড পরিশ্রম করেন।দক্ষিণাঞ্চলের আমার প্রিয় লক্ষ্মীপুর নারকেল – সুপারির জন্য প্রসিদ্ধ হলেও গত কয়েক বছরে ঘটে গেছে নীরব সয়াবিন বিপ্লব।দেশে উৎপাদিত সয়াবিনের প্রায় ৮০ ভাগই উৎপন্ন হয়ে থাকে এ অঞ্চলে। দেশের শীর্ষে সয়াবিন উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে ইতোমধ্যে এটি তালিকায় স্হান করে নিয়েছে। লক্ষ্মীপুর “কোকোনাট কুইন অব বাংলাদেশ” ও “সয়াল্যান্ড” নামে বিখ্যাত। রায়পুর মৎস প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ( এশিয়ায় বৃহত্তম) পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রামগতি একটি উপযুক্ত স্হান। এখানকার নৈসর্গিক দৃশ্য খুবই মনোরোম। রামগতি ভ্রমণের সময় পর্যটকরা সেখানকার মহিষের দুধে তৈরী ঐতিহ্যবাহী দই কে প্রাধান্য দেয়। এখানে কুয়াকাটার মত সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য অবলোকন করা যায়। রঙ – বেরঙের পাল তোলা নৌকার সারি পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। বন বিভাগের বিশাল বনায়ন, কেয়াবনের সবুজ বেস্টুনী ও নজরে আসবে। মজু চৌধুরীর ঘাট এলাকা, রায়পুর হতে রামগতি সংলগ্ন মেঘনা নদী ইলিশ মাছ ধরার জন্য বিখ্যাত। সরাসরি রুপালী ইলিশ আহরণ, রঙ বেরঙের পালের নৌকা, মেঘনার সুনীল জল। বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ- ১.আ স ম আবদুর রব, ২. সি এস পি আবদুর রব চৌধুরী, ৩.অরণ্য আনোয়ার লেখক, নাট্যকার ও চলচিত্র পরিচালক, ৪.আবু হেনা আবদুল আউয়াল-নজরুল গবেষক, কবি ও সাহিত্যিক, ৫.আবুল আহসান, সাবেক সার্ক মহাসচিব, ৬.আব্দুল মতিন চৌধুরী -পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রাক্তন উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৭.আব্দুল হাকিম এডভোকেট-গণপরিষদ সদস্য ১৯৪৭, ৮. এ. এস. এম. আবদুর রব- রাজনীতিবিদ, ৯. এম. এম. রুহুল আমিন –বাংলাদেশের ১৬ তম প্রধান বিচারপতি, ১০. এটি এম শামসুজ্জামান – অভিনেতা, ১১.খালেদ মোহাম্মদ আলী–অল পাকিস্তান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ১৯৬৯, গণপরিষদ সদস্য ১৯৭০, এমএলএ, ১২. গোরকিশোর রায়- জমিদার রাজা, ১৩,তারিন জাহান- অভিনেত্রী, ১৪.ত্রপা মজুমদার-অভিনেত্রী,১৫. দিলারা জামান-অভিনেত্রী, ১৭.নাছির আহম্মদ ভূঁইয়া- প্রতিষ্ঠাতা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, ১৮. নাজিম উদ্দিন মাহমুদ-লেখক, শিক্ষাবিদ ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য, ১৯.জিয়াউল হক জিয়া-সাবেক এলজি আর ডি প্রতিমন্ত্রী, ২০.নিশাত মজুমদার- প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী, ২১.পূর্ণশশী চৌধুরাণী-দালাল বাজার জমিদার পত্নী ও লক্ষ্মীপুর টাউন লাইব্রেরী ও টাউন হল এর প্রতিষ্ঠাতা, ২২.বিশ্বম্ভর শূর- আদিশূরের ৯ম পুত্র, ভুলুয়া রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা, ২৩.মফিজুল্লাহ্ কবীর-ইতিহাসবিদ, ২৪.মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী-ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য, ২৫.মাহফুজ আহমেদ-অভিনেতা, ২৬.মুজতবা আল মামুন- কবি ও সাহিত্যিক, ২৭.মুজাফফর আহমদ চৌধুরী-শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, ২৮.মোহাম্মদ তোয়াহা- ভাষা সৈনিক, ২৯.মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন পাঠান-শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, লেখক ও গবেষক, ৩০.মোহাম্মদউল্লাহ-বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও গণপরিষদের প্রথম স্পিকার, ৩১.মোঃ বদিউজ্জামান-দুদক চেয়ারম্যান, ৩২.মোঃ রুহুল আমিন-বাংলাদেশের ১৫ তম প্রধান বিচারপতি, ৩৩.রামেন্দু মজুমদার-অভিনেতা, ৩৪.রোজী আফসারী-অভিনেত্রী, ৩৫.শাহ্ মিরাণ বোগদাদী- বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাতি, কাঞ্চনপুর দরগাহ বাড়ি, ৩৬. জাবেরি আল মাদানী-আওলাদে রাসূল, ৩৭.সানাউল্লাহ নূরী-সাংবাদিক, ৩৮.সেলিনা হোসেন-কথা সাহিত্যিক, ৩৯.হোসনে আরা শাহেদ-ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার। ভাল থাকুক আমার প্রিয় লক্ষ্মীপুর। ভাল থাকুক লক্ষ্মীপুরের লক্ষ্মী মায়ের লক্ষ্মী ছেলে মেয়েরা।