সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন
পরিবর্তন ডেস্কঃ
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ (ডিএসএ) প্রতিস্থাপন করতে প্রস্তুত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের (সিএসএ) ২০২৩ খসড়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়াসহ সরকারকে চিঠি দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।একই সঙ্গে নতুন আইনটিতে আগের মতো যেন দমনমূলক ধারাগুলো পুনর্ব্যক্ত না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন শাখার উপসচিব মো. ইউসুফের কাছে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
পরিবর্তনের নিউজ পড়ুন Google News এ
সংগঠনটি বলেছে, যখন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ঘোষণা করা হয়েছিল তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বাতিল করার কারণে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু সতর্ক করেছিলাম যে সিএসএ যেন অবশ্যই ডিএসএর মতো দমনমূলক না হয়।সংস্থাটির মতে, সিএসএর প্রাথমিক খসড়া পর্যালোচনায় দেখা গেছে তাতে আগের আইনের মতো দমনমূলক ধারাগুলো রয়েছে, যা ব্যক্তির বাক্স্বাধীনতার অধিকারকে হুমকি ও সীমিত করার লক্ষ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল।মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইন শাখার উপসচিব মো. ইউসুফের কাছে এ সংক্রান্ত একটি বার্তা পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুনঃ শেখ হাসিনা হারলে অস্থিতিশীলতার মুখে পড়বে বাংলাদেশ: দ্য হিন্দু
সংস্থাটি আরও জানায়, খসড়া আইনে আমরা দেখা গেছে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টটিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দমনমূলক বিধানগুলোকে ধরে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ গ্রেপ্তার, তদন্ত এবং বিচারের আগে আটকের ব্যাপক ক্ষমতাসহ ওভারব্রড অপরাধ, যা ক্রমাগতভাবে হুমকি এবং কার্যক্রম (বাক স্বাধীনতা) সীমাবদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে সকলের স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।