শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি :
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সোমবার (১৫ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন।
করোনার কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে সীমিত পরিসরে অফিস ও গণপরিবহন খুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে গত ১ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস শুধুমাত্র প্রশাসনিক রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে (যথা: ছাত্রভর্তি, বিজ্ঞানাগার, পাঠাগার, যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় ইত্যাদি) সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। তবে অসুস্থ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী, সন্তান সম্ভবা নারী এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রমও শুরু করা যায়নি। সব মিলে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছুটির নির্দেশনায় বলা হয়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডার গার্টেন বন্ধ থাকবে। এসময়ে নিজেদের এবং অন্যদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করবে।
‘শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন। বর্ণিত সময়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকগণ তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীগণ যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।’
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক নির্দেশনায় জানায়, অনলাইন কোর্স/ডিস্টেন্স লার্নিং অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রশাসনিক কার্যাবলি চালাতে পারবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।