শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
আফতাব মেহেদী গালিব, লক্ষীপুর পৌরসভা প্রতিনিধি:- লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে (১৫) অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি সাগরসহ চার জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এরমধ্যে সাগরকে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
অপর আসামী শামিম, মাহফুজ ও রনি দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণ মামলায় তিন আসামী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে আদালতের বিচারক ভিক্টোরিয়া চাকমা তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী একেএম নুরুল আমিন রাজু বলেন, আমরা তিন জনের জামিন চেয়েছি। বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, অপহরণকারী সাগরকে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ মামলার আরও তিন আসামীকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কোনো কাগজপত্র থানায় আসেনি।
মামলা সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরী রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত জনতা মডেল একাডেমীর ছাত্র ও মধ্য চর নেয়ামত এলাকার বাসিন্দা। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে সাগর ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। পরে ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮ টার দিকে ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাগরসহ অন্যান্য আসামিরা জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাস তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ জনকে আসামী করে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
রামগতি থানা পুলিশ জানায়, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে নোয়াখালী থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তখন অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি শেষে ১৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। সাগরসহ সকল আসামিদের আমি উপযুক্ত বিচার চাই। মামলা তুলে নিতে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমার মেয়ে তাদের ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।