রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব কর্নারটির উদ্বোধন করেন। এ সময় বিজিই বিভাগের সভাপতি ড. মো. শরাফত আলী, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল জোবায়ের, মো. শাহাবুদ্দিন, প্রভাষক ইমদাদুল হক শরীফ ও ড. সুজয় কুমার ভাজনসহ সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, করোনাকালীন ছুটি শেষে ২০২১ সালে ঐ বিভাগের প্রভাষক ইমদাদুল হক শরীফ শিক্ষার্থীদের দিয়ে শ্রেণিকক্ষ সংলগ্ন ফাঁকা বারান্দায় টবে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেন। প্রায় দুই বছর শেষে বর্তমানে ঐ বারান্দায় শোভা পাচ্ছে দেশবিদেশি বাহারি প্রজাতির ফুল ও সৌন্দর্যবর্ধক গুল্ম। ঐ সময়ে বিভাগটির পাঁচ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাচভিত্তিক গাছ লাগানোর পুরস্কার হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বই উপহার দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীদের ঐ বইগুলোসহ বিভাগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত শতাধিক বই নিয়ে এই মুজিব কর্নারের যাত্রা শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিজিই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাহেরা বলেন, আমাদের বিজিই করিডোরটির চিত্র অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। বাহারী ফুল ও দেশি-বিদেশি গাছেগুলো রঙিন টবে শোভা পাচ্ছে যা দেখে মন পরিস্ফুটিত হচ্ছে। একই সাথে মুজিব কর্নার বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যাতে করে আমরা তার আদর্শে আদর্শিত হয়ে জীবন গড়তে পারি। এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ইমদাদুল হক সোহাগ স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আমাদের বিভাগের শ্রদ্ধেয় সকল শিক্ষকগণকে।
বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নেওয়া শিক্ষক ইমদাদুল হক শরীফ বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছ লাগানোর উৎসাহ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক শিক্ষা পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন বলেই আজ আমরা মুক্ত এবং সবাই স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছি। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি তা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি, তা হবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায়। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কর্নার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস করি।
বিজিই বিভাগের সভাপতি ড. মো. শরাফত আলী বলেন, আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে মুজিব কর্নার হওয়া জরুরি। বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে এমন উদ্যোগ আসলেই চমৎকার ধারণা। আমরা প্রাথমিকভাবে মুজিব কর্নারটি ছোট পরিসরে করেছি। এই কর্নারটি আরো সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ক্ষণজন্মা কিংবদন্তির নাম। তার অনাশ্রিত পথ এ জাতির মুক্তির দিশা। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ওপরে গবেষণার বিকল্প নাই। আশা করি এই মুজিব কর্নার বিভাগটির শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু বিষয়ক কিছুটা হলেও জ্ঞান পিপাসা মিটাবে ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিজিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রভাষক ইমদাদুল হক শরীফের প্রদত্ত অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে প্রায় ৫০০ গাছ লাগানো হয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।