শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন
(জামান মৃধা, নীলফামারী প্রতিনিধি):- নীলফামারী ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড আবাসিক এলাকায় প্রতিষ্ঠিত ”ডালিয়া শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়” দুপুর ১.৪৫ মিনিটে ছুটি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। নির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় অভিভাবক ও ডালিয়া পাউবো আবাসিক এলাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন অভিভাবকগণ। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঝরে পড়েছে অনেক শিক্ষার্থী। এখন করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামনে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা সেদিকে দৃষ্টিগোচর না করেই শিক্ষকরা নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে দিচ্ছেন। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত ও বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন ক্ষুব্দ অভিভাবকগণ। এদিকে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে মঙ্গলবার (২২শে নভেম্বর) দুপুরে ডালিয়া শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নেই। বিদ্যালয়ের পাঠদান ও অফিসকক্ষ তালাবদ্ধ। একেবারেই শুনশান নিরব নিস্তব্ধ। বিদ্যালয় সংলগ্ন একাধিক বাসা বাড়ির লোকজন জানান, অনুমানিক দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষকরা বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। ডালিয়া পাউবো আবাসিক এলাকার একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এটা আবাসিক এলাকা হওয়ায় এখানকার অনেক ছেলেমেয়ে ওই বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় এখানকার অনেক শিক্ষার্থীও ডালিয়া শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করায় অনেক শিক্ষার্থী বাসায় এসে কান্নাকাটি করে। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থী বাসায় এসে মোবাইল গেম, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে বই বিমুখ হয়ে পড়ছে আর এতে ধ্বংস হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। তাই নিরুপায় হয়ে অনেক অভিভাবকগণ তাদের ছেলেমেয়েদের বাহিরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করিয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষকদের এই অনিয়মের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকুমার রায় বলেন, ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে দুপুর একটার সময় প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মনসুরা বেগমকে বলে চলে আসি। এরপর কি হয়েছে তা বলতে পারবো না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল হালিম বলেন, বিকাল চার টার পূর্বে কোনক্রমেই বিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা যাবেনা। যদি কোন শিক্ষক ছুটি ঘোষণা করে থাকেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।