রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ অপরাহ্ন
গিয়াস উদ্দীন উপ-সচিব কক্সবাজার (ইয়াস)
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে গ্যাস সিলিন্ডার ক্রসফিলিং ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিদগ্ধে আহত দুইজনেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত শ্রমিক রামু রশিদ নগর নতুন বাজারের মৃত মোঃ ইদ্রিসের ছেলে। অপরজন জালালাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ লরাবাকের ড্রাইভার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম।
৯ই ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
প্রসঙ্গত গত ৪ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে ঈদগাঁও কলেজ গেইটের সামান্য দক্ষিণ পাশে আবু সৈয়দ সওদাগরের গ্যাস সিলিণ্ডার ক্রসফিলিং ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ডিপোতে কর্মরত জামালসহ দুই শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। দীর্ঘ ৬দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
জানা যায়, হঠাৎ বিকট শব্দে আশপাশের বাড়িঘর, বিল্ডিং থর থর করে কেঁপে উঠে এবং চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আতংকিত মানুষজন ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে। একের পর এক গ্যাসসিলিণ্ডার বিষ্ফোরণের বিকট শব্দ আর আগুনের লেলিহান শিখায় বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কের যান চলাচল। প্রায় আধঘণ্টা পর রামু থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে ঘন্টা ব্যাপি চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘন্টার মধ্যে ৮০ভাগ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ মহাসড়কের দুই পাশে দুরপাল্লার যানবাহন আটকা পড়ে। আগুন লাগার ঘটনা চারদিক ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য উৎসুক জনতার ভীড় জমে। পরে ঘটনাস্থলে আসেন ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম ও ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবদুল হালিম।
এই বিষয়ে মালিকপক্ষ আগুনের ঘটনাটিকে একটি অনাকাঙ্কিত দূর্ঘটনা ও বৈধ লাইসেন্সধারী বলে দাবী করলেও প্রকৃত পক্ষে সংশ্লিষ্ট ডিপোটি ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। মূলত ঐ ডিপোর বৈধতার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র নেই বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান।
ব্যবসাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা ছিল না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।