রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন
(জামান মৃধা, ডিমলা প্রতিনিধি)
নীলফামারী, ডিমলা উপজেলার সর্বত্র ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) শুরু হওয়ায় ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দের বন্যা। অধিকাংশ হাট-বাজারে ক্রিকেট প্রেমিক যুবসমাজের মাঝে বিরাজ করছে এক প্রকারের ক্রিকেট উন্মাদনা।
ক্রিকেট প্রেমী বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণি পেশার মানুষ খেলা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন গ্রামের হাট-বাজারের বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁ ও চায়ের দোকানে।
আইপিএল ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে জমজমাট জুয়ার আড্ডা। জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে অনেকেই। বিভিন্ন এলাকায় হোটেল, চায়ের দোকানে,আইপিএল ক্রিকেট খেলা উপভোগ করতে গিয়ে দেখা যায় জুয়ার আসর। সর্বনাশা এই ক্রিকেট জুয়া চলছে সবখানে।এ সর্বনাশা খেলায় কেউ রাতারাতি পকেট ভারী করছে আবার কেউ নিঃস্ব হয়ে শূন্য পকেটে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা না থাকায় এ আসর দিন দিন জমজমাট হয়ে উঠছে।
অন্য সব জুয়াড়িকে আটক বা গ্রেপ্তার যতটা সহজ, ক্রিকেট জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার ততটা সহজ নয়। এসব জুয়াড়িরা কৌশলগত কারণে বরাবরই থেকে যায় প্রশাসনের দৃষ্টির আড়ালে। হাতে হাতে প্রযুক্তিনির্ভর (মোবাইল ফোন) হওয়ায় এ জুয়াও বন্ধ করা সহজ নয় বলে স্থানীয়দের ধারণা।
ক্রিকেট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় খেলা,এই খেলাকে কেন্দ্র করে ফিক্সিং হয়, খেলোয়াড় কেনাবেচা হয়, অর্থ লেনদেনে প্রতিপক্ষের দাপুটে খেলোয়াড়কে বশে এনে খেলায় জয়-পরাজয় নির্ধারণ করা হয়। এই খেলা নিয়ে এখন সর্বত্রই চলে বড় অঙ্কের জুয়া,ধরা হয় বাজি । এরই সুবাদে একটি শ্রেণি মেতে উঠেছে আইপিএলের চার-ছক্কার জুয়ায়। উইকেটে ও ব্যাটের রানে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা গেছে, যেখানে বড় স্ক্রিনে বিপিএলের খেলা দেখানো হয় অথবা যেখানে খেলা দেখার লোকসমাগম বেশি হয় মূলত সেখানেই এই জুয়ার আসর বেশি জমজমাট হয়।যুবসমাজের একটি বড় অংশ এই খেলাটিকে জঘন্য জুয়ার আসরে পরিণত করেছে।তারা মূলত আইপিএল খেলা উপভোগ করে জুয়া খেলার উদ্দেশ্যেই। খেলা শুরু হলে প্রতি ওভারে ওভারে জুয়া খেলায় টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। অপরদিকে প্রতি বলে-বলে ধরা হয় বাজি,
কোন ব্যাটসম্যান কতটি ছক্কা অথবা চার হাঁকাবে এ নিয়ে চলে জুয়ার দর কষাকষি। খেলায় কে কতটি উইকেট পাবে!কে কত রান করবে ইত্যাদি বাজিতে মেতে উঠে ক্রীকেট জুয়াড়ীরা। সবশেষে পছন্দের দলের হার-জিত নিয়েও চলে বড় অঙ্কের টাকার বাজি ।
জুয়াড়িদের পাতা ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ উদীয়মান যুবসমাজ। সচেতন অভিভাবক মহল সন্তানদের অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর নজরদারির মাধ্যমে ওই সমস্ত যুবসমাজকে অনৈতিক জুয়ার জাল থেকে বের করে আনতে সচেষ্ট হবেন।
সমাজের সকল অপকর্ম থেকে রেহাই পেতে অভিভাবকদের দৃঢ় সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক প্রশাসনিক গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি খুবই জরুরী বলে অভিমত সুধিসমাজের। এ ভাবে জমজমাট জুয়ার আসর চলমান হলে এলাকার তরুণ সমাজ ধ্বংসের মুখে ধাবিত হবে ও এলাকার আইন-শৃংখলার অবনতির সমূহ সম্ভাবনা আছে এবং এলাকায় চুরি, ছিনতাই বৃদ্ধি পাবে। ইতিমধ্য অনেকের ব্যাটারীচালিত ইজিবাইক ও ভ্যানগাড়ী চুরি হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডিমলা, সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বেনন পূর্বেও আমি এই অভিযোগ পেয়েছি (আইপিএল) জুয়ারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাড়াঁশি অভিযান চালানো হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।