রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় সরকারি সম্পদের ওপর প্রকাশ্য ও পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার চকগোয়াশ মরাঘাটি এলাকায়—একডালা বাজার থেকে ইউপি পরিষদের পাশ দিয়ে তকিনগর আইডিয়াল স্কুলগামী প্রধান সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা সরকারি মালিকানাধীন তিনটি মূল্যবান মেহগনি গাছ প্রকাশ্যে ও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কর্তন করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ও প্রচলিত সরকারি বিধি-বিধানকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে কোনো ধরনের প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়াই জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের পাশের গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। ঘটনাটি দিনের আলোতেই সংঘটিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ, উদ্বেগ ও হতাশা বিরাজ করছে।
প্রাপ্ত নির্ভরযোগ্য ও যাচাইকৃত তথ্যে জানা গেছে, এই অবৈধ গাছ কর্তনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে মোজাহার হোসেন (পিতা—মুনসুর রহমান)-এর বিরুদ্ধে। একই ঘটনায় রাজন ওরফে রুবাব (পিতা—মৃত হান্নান, চকগোয়াশ) সহযোগী হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন বলেও স্থানীয়ভাবে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে ও প্রশাসনিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সরকারি সম্পদ লুটের এই কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করেছে।
ঘটনার পর এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—তবে কি প্রভাবশালীদের জন্য আইন ভিন্ন? স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকদের মতে, সরকারি রাস্তার পাশে গাছ কর্তন আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল পরিবেশ ধ্বংসই নয়, বরং জলবায়ু ভারসাম্য নষ্ট করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ বিপর্যয়ের পথ তৈরি করছে।
এলাকাবাসী জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করা হয়েছে। তারা অবিলম্বে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে সরকারি রাস্তার পাশে অবৈধ গাছ কর্তন রোধে কঠোর নজরদারি ও কার্যকর অভিযান পরিচালনার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসীর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি—দ্রুত ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে জনস্বার্থে বিষয়টি গণমাধ্যমে আরও ব্যাপক ও ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হবে। অন্যথায় প্রশাসনের এই নীরবতা ও উদাসীনতা জনমনে গভীর অসন্তোষ ও অনাস্থার জন্ম দেবে বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।