শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পূর্বাহ্ন
সুমন হাসান,কয়রা,খুলনা,প্রতিনিধিঃ
“বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন ১ লা মে’। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘন্টা কাজের দাবীতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ১লা মে “মে দিবস” হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
আজ সোমবার(১লা মে) কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের নিজস্ব কার্যালয়ে জি এম আব্দুল হালিম এর সভাপতিত্বে ও এস এম আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মহান মে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বাবু নিশিত রঞ্জন মিস্ত্রী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন কয়রা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সভাপতি কয়রা থানা ছাত্রলীগ ও কয়রা সদর ইউনিয়নের সুনামধন্য চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন,
১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিক সমাজ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। বিশ্বের শ্রমিক সমাজ তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এখনো তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সে আন্দোলন আজও পুরোপুরি সফলতা লাভ করেনি। প্রায় সময় শ্রমিকদেরকে তাদের ন্যায্য বেতন-ভাতার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি ন্যায্য পাওনা আদায় করতে গিয়ে তাদের মূল্যবান জীবনও দিতে হয়েছে। এক কথায় আজ অত্যন্ত স্পষ্ট যে,মানব রচিত কোনো মতবাদই মানুষের সমস্যার সঠিক সমাধান দিতে সক্ষম নয়।শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করার জন্য’ রাসূলে করীম (সাঃ) জোর তাগিদ দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কয়রা উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আমিরুল ইসলাম
শ্রমজীবী মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন শ্রমজীবী মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার পর মে দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় এবং জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।বঙ্গবন্ধু শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং তিনি শ্রমিকদের জন্যও নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার উদ্যোগ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলওর ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। এটি একটি বিরল ঘটনা এবং শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও তাদের অধিকার রক্ষায় এক অনন্য স্বীকৃতি।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,,, কয়রা সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি গাজী ইমরান হাসান রোকন, মহারাজপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সোহরাব আলী গাজী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাফিজুল ইসলাম,আমাদী ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম, কয়রা সদর ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রিজানুল করিম খোকন, উঃ বেদকাশী শ্রমিক লীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকন, কয়রা ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ড কয়রা সদর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসাদুল হক বেনজু সহ স্থানীয় জাতীয় শ্রমিক লীগের দলীও নেত্রী বৃন্দ।
সর্বশেষ নিহত শ্রমিকদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।