সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
(জামান মৃধা, নীলফামারী প্রতিনিধি):- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গ্রাম্য পশু চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান জাতের (গর্ভবতী) গাভীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুল চিকিৎসায় গাভীর মৃত্যুর অভিযোগ এনে একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে পল্লী পশু চিকিৎসক সাইফুল্লাহ সেলিমের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। গতকাল বুধবার (২৫শে জানুয়ারি) উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গরুর খামারি দেলোয়ার হোসেন জানান, গরু মোটাতাজাকরণ ও উন্নত জাতের ফ্রিজিয়ান গরুর খামার রয়েছে তার। গত বুধবার খামারে থাকা সাত মাসের একটি গর্ভবতী গরুর গাভ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় পশু চিকিৎসক সাইফুল্লাহকে ডাকা হয়। তিনি বলেন গাভীর বাছুর প্রসব হবে। গর্ভবতী গাভীকে প্রসব ব্যথা উঠানোর জন্য ইনজেকশন পুশ করতে হবে। এই ইনজেকশনে স্বাভাবিক ব্যাথা হলে সেরে যাবে আর প্রসবের ব্যথা হলে ব্যথা তীব্র হবে ও গাভীর বাছুর প্রসব হবে। ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণ পর দুই জন মিলে বাছুর টেনে বের করার এক পর্যায়ে পেটের নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে আসে। এই অবস্থা দেখে তারা ভীত হয়ে নাড়িভুঁড়ি আবার পেটের ভিতর ঢুকিয়ে সেলাই করে দেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর গাভী নিস্তেজ হয়ে মারা যায়। এই অবস্থা দেখে পল্লী চিকিৎসক ওষুধ নিয়ে আসি বলে সটকে পড়ে। আমি ছোট একটি গরুর খামারি। ব্যবসার পাশাপাশি ছোট একটি গরুর খামার তৈরি করেছি। আমি একজন গরিব মানুষ। আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায়। গাভীর প্রসবের সময় হয়নি তারপরও ইনজেকশন দিয়ে জোর করে প্রসবের চেষ্টা করে ওই ডাক্তার। সর্বশেষ দুজনে মিলে টানাটানিতে গাভীটির পেট থেকে নাড়িভুঁড়ি সব বের হয়ে আস তার কিছুক্ষণ পর গাভীটি মারা যায়। মৃত গাভীটির বর্তমান বাজার মূল্য ২ লাখ ২০ হাজার টাকার উপরে হবে। আমি এই পল্লী চিকিৎসকের উপযুক্ত বিচার চাই। অদূর ভবিষ্যতে অন্য কেউ যেন আর এই ভুল চিকিৎসার শিকার না হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা শুনেছি গ্রাম্য ওই পশু ডাক্তারের চিকিৎসায় আরো অনেক গরু মারা গেছে। আমরা ওই ভুয়া চিকিৎসকের অপচিকিৎসার অবসান চাই। রিপন ইসলাম নামে স্থানীয় আরো একজন বলেন, আজ একজন খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হলো, কাল আরেকজন হবে। এদের আইনের আওতায় নিয়ে না আসলে এই সকল অনভিজ্ঞ পল্লী চিকিৎসক বেপরোয়া হয়ে যাবে। তাই এদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। ডিমলা থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. লাইছুর রহমান বলেন, গাভী মৃত্যুর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।