শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধি।
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার অন্তর্গত রাখালিয়া গ্রামের মাতাব্বর হাটে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
(” মমতাজেন্নেছা মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ” )। প্রতিষ্ঠানটি চলতি অর্থ বছরে “এমপিও” ভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিনিয়ত নেগেটিভ শিরোনামে আসছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে সরকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা & পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষনা দিয়েছে। সেখানে “মমতাজেন্নেছা মেমোরিয়াল স্কুল & কলেজ” তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে এবং বাধ্যতামুলকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বাধ্য করছে। প্রতিষ্ঠানটি রুটিন মাফিক কৌশলে শ্রেণীপাঠ সম্পন্ন করছে। যেমনঃ ২য় শ্রেণীর সপ্তাহে ৪ দিন, ৮ম শ্রেনীর সপ্তাহে সোমবারে একদিন এবং এভাবে সকল শ্রেণীর পাঠদান প্রতিদিন অব্যাহত রাখছে। তাছাড়াও অভিভাবকদের বাধ্যতামুলক বেতন দিতে চাপ দিচ্ছে। তাদের চাপে পড়ে অনেক অভিভাবকরা ধার দেনা বা ঋন করে সন্তানের বেতন দিতে বাধ্য হচ্ছে। অভিভাবকরা বেতন দিতে কেউ কেউ অপারগতা প্রকাশ করলে তাদের সাথে অফিস ও প্রধান শিক্ষক খারাপ বা রূঢ় আচরন করছে। কিছুদিন আগেও পরীক্ষার নাম দিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রশ্ন ও কাগজ দিয়ে এসে পরীক্ষার ফিস ও বেতন সংগ্রহ করেছে তারা। সেই পরীক্ষার কাগজ তারা নিয়ে গেছে কিন্তু আজ ৪ মাসের বেশী হয়ে গেলো সেই রেজাল্ট তারা প্রকাশিত করেনি।
এ প্রতিষ্ঠানটি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শিক্ষকদের ছাটাই করেছে কোনোরুপ নোটিশ ছাড়াই। বিগত সময় গুলোতেও দেখা গেছে তারা যখন খুশী শিক্ষকদের ছাটাই করেছে। এমনকি প্রধান শিক্ষককেও ছাটাই করেছে কোনরুপ নোটিশ ব্যতিত। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ছবিও সংবাদ মাধ্যমে এসেছে, কিন্তু উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে ও কোনোরুপ ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
হিসাবরক্ষক কবির হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির ২ মাস পেরুনোর আগেই হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠাতা আমাকে বিদ্যালয়ের ইমেইল এ নোটিশ করে আপনি আগামীকাল থেকে বিদ্যালয়ে আসবেননা। আমি জানতে চাইলাম কারনটা কি? উনারা জানালো কোনো কারন নেই,গভর্নর বডির সিদ্ধান্ত।
এভাবে পূর্ববর্তী সময় থেকেই নানারুপ মনগড়া কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্চে। কোনো সাংবাদিক রিপোর্ট করতে আসলে টাকা খাইয়ে তারা তাদের মুখ বন্ধ করিয়ে রাখে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত যখন যেটা খুশী তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় কোনোরুপ আলোচনা ছাড়াই।
ওই শিক্ষক বলেন, প্রতিষ্ঠাতার ভাই যিনি কিন্ডারগার্টেন শাখার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন “ওসমান গণি বিপ্লব” তিনিই সব করেন। তার বিরুদ্ধে কথা বললে অনেকের চাকুরী হারাতে হয়, তাই কেউ প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারেনা।
এমতাবস্থায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষামন্ত্রণালের সুদৃষ্টি কামনা করছি।।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।