রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
তাপস কর,ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য সংখ্যালঘু এক পরিবারের সদস্যদের মেরে রক্তাক্ত করেছে একদল সন্ত্রাসী । রবিবার রাতে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন নারীসহ ৫ জন জখম হয়েছে।
তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা জানান, রসুলপুর গ্রামের অসহায় একটি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের একটি বসত ভিটা ওপর চোখ পরে একই গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আব্দুল হাই ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের । তারা ওই জমিটুকু তাদের আয়ত্তে নেয়ার জন্য এই সংখ্যালঘু শীল পরিবারের উপর নানা রকম মানসিক অত্যাচার করে আসছিল । রবিবার বিকালে আব্দুল হাইয়ের ছেলে হাফিজুল ( ২৫) শীল বাড়ির সামনে এসে এই বাড়ির নারীদের অশ্লীল কথাবার্তা বলছিল । স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাইফুলের কাছে এ ঘটনার বিচার প্রার্থী হয় শীল পরিবারের লোকজন । চেয়ারম্যানের অফিস থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে রসুলপুর পোষ্ট অফিসের কাছে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা হাফিজুল ও সিরাজুলের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী অমল ও সুবল শীলের রাস্তা আটকে তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে এলাকা থেকে উচ্ছেদ না হলে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । রাত ৮টার দিকে হাফিজুল ও সিরাজুলের (২৩) নেতৃত্বে ৭/৮ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শীল বাড়ির অঞ্জলী শীলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা শীল বাড়ির নারী ও পুরুষদের রামদা দিয়ে কোপিয়ে , রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে অঞ্জলী শীল (৬২), অমল শীল ( ২৮), সুবল শীল (৪৫), প্রার্থনা রানী শীল (৪০), মনি রানী শীল(১৪)সহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়। সন্ত্রাসীরা শীলবাড়িতে লুটপাটও চালায় । এ সময় তাদের চিৎকারের এলাকাবাসী এসে উদ্ধার করে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে।
রসুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, শীল বাড়ির ঘটনা নিয়ে আজ সোমবার সকালে সালিশ-বৈঠকের সময় নির্ধারন করা হয়েছিল । তার আগে রবিবার রাতেই শীল বাড়িতে গন্ডগোলের এই ঘটনা ঘটে
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার বলেন , বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ গিয়েছে। থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।