সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
নির্বাহি সম্পাদক:
বাংলাদেশের বিজয়কে ভারতের বিজয় এবং পাকিস্তান ভারতের কাছে আত্মসমর্পন করে মর্মে জামায়াত নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস। এক যৌথ বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান এ্যাডঃ কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেছেন, এই ধরণের বক্তব্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম ও তার সুফলকে অস্বীকার করা। এই বক্তব্যের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে অস্বীকার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সকল বীর বাঙালী মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, যে সকল মা-বোনেরা সম্ভ্রম হানীর শিকার হয়েছেন এবং যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন ও সহযোগিতা করে প্রিয় এই বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন তাদের প্রতি অসম্মান জানানো হয়েছে যা মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার সামিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সফল পরিসমাপ্তি ঘটে এবং বাংলাদেশ নামক নতুন দেশটি জন্ম লাভ করে। সুতরাং পাকিস্তানী বাহিনী ভারতের কাছে আত্মসমর্পন করে কিংবা ১৬ই ডিসেম্বরের বিজয় ভারতের বিজয় বলার কোন সুযোগ নেই।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের বিজয় অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। প্রশ্ন উত্থাপন করে বিবৃতিতে বলা হয়, যদি বাংলাদেশ বিজয় অর্জন না করে তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি কিভাবে হয়েছিল? নাকি মুক্তিযুদ্ধ হয়নি? মুক্তিযুদ্ধ না হলে তো বাংলাদেশ হয়নি। তাহলে কি এটা পাকিস্তান?
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, স্বাধীনতার চুয়ান্ন বছর পরে এসে বাংলাদেশের জন্ম প্রক্রিয়ার ত্রুটি খুঁজতে যাওয়া দুঃখজনক। মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন ছিল, হয়েছে এবং তার সুফল আমরা সবাই ভোগ করছি। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে নেতিবাচক বিশ্লেষণ এবং ভারতকে প্রাধান্য দিয়ে কথা বলা মানে বাংলাদেশকে ছোট করা। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা ঢাঁকতে মহান বিজয়কে বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা থেকে সরে আসতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি বিবৃতি আহবান জানানো হয় বাংলাদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।