বৃহস্পতিবার, ০৫ Jun ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
হাকীম-এস,এম,শামীম (ফুলপুর)ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের ফুলপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসহায় ললিতা রানী(১৭) কে চিকিৎসার জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এক তরুণ উদ্যোক্তা।
জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি রবি দাসের কন্যা ললিতা রানী (১৭) বেশ কিছুদিন আগে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্নকভাবে আহত হন। দূর্ঘটনায় তার উরু ও নিতম্বের দুই পাশের পুরো মাংস ছিড়ে উঠে গিয়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অতঃপর তার চিকিৎসায় প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার টাকার বেশী খরচ হতে থাকে। ললিতা রানীর পিতা দরিদ্র স্কুল দপ্তরি হওয়ায় ব্যয়বহুল সেই চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে নিরুপায় হয়ে পড়েন। বর্তমানে সর্বশান্ত হয়ে টাকার অভাবে মেয়ের চিকিৎসা করতে পাচ্ছিলেন না। নিরুপায় পিতা মেয়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে বিষয়টি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফুলপুর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নাজমুল হাসান রাজনকে জানান এবং মানবিক ব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সহযোগিতা চান। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক নাজমুল হাসান রাজন তার ফেসবুক টাইম লাইনে “একটি মেয়ের বেঁচে থাকার আকুতি” শিরোনামে একটি পোস্ট করেন। যা দেখে ফুলপুর উপজেলার ভিবিন্ন ব্যক্তিগণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অবশেষে বিষয়টি নজরে আছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের তরুণ উদ্যোক্তা পাউস কেয়ারের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের। তিনি ললিতা রানীর চিকিৎসার জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিতে আগ্রহী হন।
সেই প্রেক্ষিতে অধ্য ৩ জুন বিকালে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব সাদিয়া ইসলাম সীমার মাধ্যমে ললিতা রানীর পরিবারের কাছে এক লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর শাখার পাউস কেয়ারের পক্ষ থেকে মেনেজার জিহাদ, আইসিটি কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ফুলপুর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান রাজন, সদস্য রেজা মুসাফির, খাদিমুল হাসান সুমন, ললিতা রাণীর পিতা রবি দাস ও তার ভাই চন্দন রবি দাস এবং স্হানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।