বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন
(জামান মৃধা, নীলফামারী প্রতিনিধি):- নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে হাফিজার রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠেছে তারই প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৯শে অক্টোবর) গভীররাতে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ি গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে মো. আমজাদ হোসেন গং কে অভিযুক্ত করে ডিমলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. হাফিজার রহমান (৪৫) পিতা আলহাজ্ব রোস্তম আলী জানান, প্রতিদিনের মতো তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরিবারসহ সকলে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন কে বা কাহারা বাড়ির গোয়াল ঘরের পাশে একটি চার চালা টিনের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। আশেপাশের লোক জানতে পেয়ে তাকে ডাকে এবং ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পর তার স্ত্রী দেখেন দুই পাশেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের দিকে ধেঁয়ে আসছে। হাফিজার রহমানের স্ত্রী জানান, ঘুম থেকে উঠে তিনি দরজা খুলে বাহিরে যান। দেখে চার চালা ঘরের দুই পাশের বেড়ায় আগুন জ্বলছে। তা দেখে চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হলে সবাই মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইতিমধ্যেই ঘরে থাকা হাঁস মুরগি ও গবাদিপশু সহ কৃষি কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রী আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। জমিজমার বিরোধ নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি প্রতিপক্ষ আমজাদ হোসেন (৫৫) পিতা আলহাজ্ব সয়ফাল মুন্সি ও পরিবারবর্গকে দোষারোপ করেছেন। সেই সাথে এ ধরনের নেক্কার জনক ঘটনার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার। বাড়ি পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা আবুল কালাম (৪৫) জানান, হাফিজার রহমানের ঘরে আগুন ধরে উঠলে তার বাড়িসহ আশেপাশের আরো অনেকের বাড়ি পুড়ে যেত। এ ঘটনাটি যারা ঘটাতে চেয়েছে তারা অমানুষের কাজ করেছে। তিনি দোষীদের সনাক্ত করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান। আরেক প্রতিবেশী আলম মিয়া (৪৮) বলেন, যারা আগুন লাগিয়েছে তারা অমানুষ, ন্যূনতম মনুষ্যত্বের জ্ঞান তাদের মধ্যে নেই। যে ঘরে আগুন লেগেছে তার পার্শ্ববর্তী ঘরটিই গরুর ঘর। সময়মতো এসে ঘরের আগুন না নিভানো গেলে গরুর ঘরে আগুন লেগে যেত। এই পরিবারটি একেবারে নিঃস্ব হয়ে যেত। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। তিনি আরো বলেন, আগুন লাগাতে কাউকে দেখিনি তবে বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে আমজাদ হোসেনসহ কয়েকজনকে পালিয়ে যেতে দেখেছি। হাফিজার রহমান বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন দলেবলে শক্তিশালী। তাদের নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী রয়েছে। ১৩ একর জমি নিয়ে আমজাদ হোসেনের সাথে বিরোধ রয়েছে আমাদের। যাহা বিজ্ঞ আদালতে চলমান। জমির বিরোধ নিয়ে আমার পরিবারের সকলকে হত্যার ষড়যন্ত্র অমানবিক। তাই আমজাদ হোসেনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ সকল বিষয়ে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।