বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
মনসুর অাহাম্মেদ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে মরিচ ক্ষেত থেকে তুলে পরিচর্যা ও শুকাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষানীরা বিগত কয়েক বছর ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত কৃষকরা। ধান চাষের পাশাপাশি এখন মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ব্যাপক হারে কাঁচা মরিচের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
মরিচ চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ধান চাষের পাশাপাশি মরিচ চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলায় এবার বিঘা কে একর জমিতে কাঁচা মরিচের চাষ হয়েছে। খরচে বেশী হলেও কাঁচা মরিচ আবাদ করে অধিক লাভ হওয়ায় কৃষকরা মরিচ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার মরিচ থেকে বেশ লাভবান হবেন চাষিরা। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ২ শ টাকা থেকে ২৫০ শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে এলাকার অনেক কৃষকই জানান, অজ্ঞাত রোগে মরিচ গাছের পাতাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বযা মৌসুমে কিভাবে তারা এই মরিচ গাছগুলো টিকিয়ে রাখবে এটা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা। ঠাকুরগাঁও উপজেলার সদর ইউনিয়নর মোহাম্মদ পুর হরিনারায়ন পুর মাসটার পাড়ার গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি গত দুই বছর ধরে ৫০ শতক জমি বর্গা নিয়ে মরিচ চাষ করে আসছেন।
গত বছর তার খরচ বাদ দিয়েও প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে আরো অনেক চাষী মরিচ চাষে লাভোবান হয়েছে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানান, এবার ১ হাজার,১ শ ১৭ হেক্টার জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে মরিচ চাষিদের এ বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূলে ভাল থাকলে এবার মরিচ চাষে বেশ লাভবান হবেন কৃষকরা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।