বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
রাজশাহী প্রতিনিধি নরুন নবী :
র্যাব প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরনের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। জঙ্গি, সন্ত্রাসী, সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্র, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, প্রতারক, হত্যা এবং ধর্ষণ মামলার আসামিসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস অপারেশনাল দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র এএসপি মোঃ রফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে¡ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ ২১৩০ ঘটিকায় জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন গুচ্ছগ্রাম এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৫০ পিচ ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক কারবারী ১। শ্রী উজ্জল কর্মকার (৪২), পিতা-মৃত মংলা কর্মকার, ২। মোঃ আব্দুল মোমিন (৩০), পিতা-মোঃ আনারুল ইসলাম, ৩। মোঃ সুমন ইসলাম (২৩), পিতা-মোঃ জামাল হোসেন, ৪। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৭), পিতা-মোঃ জাফর আকন্দ, ৫। মোঃ আব্দুল মান্নান (১৮), পিতা-নাছির উদ্দিন এবং ৬। মোঃ সুমন হোসেন (৩০), পিতা-মোঃ লুৎফর রহমান, সাং-পাইকর দাড়িয়া, সকলের থানা ও জেলা-জয়পুরহাট কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী উজ্জল এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। গ্রেফতারকৃত আসামী মান্না, সুমন, মোমিন, সুমন ও দেলোয়ার উজ্জল‘র সহযোগী হিসেবে কাজ করতো বলে জানা যায়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর গোয়েন্দা দল উজ্জল এর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে। ৩১-১২-২০২৩ ইং তারিখে ২১৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত আসামীদেরকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ট্যাপান্টাডল ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জয়পুরহাট জেলার সদর থানাধীন গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল উজ্জল, মান্না, সুমন, মোমিন, সুমন ও দেলোয়ার কে আটক করে। পরবর্তীতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে উক্ত আসামীদের নিকট রক্ষিত অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫০ পিচ ট্যাপান্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
মাদকসেবী ও মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।