রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
মোঃ আলিম উদ্দিন আলিম, সিলেট সদর উপজেলা প্রতিনিধি
ক্রিকেটে অনেক রেকর্ড হয়েছে।আবার ভেংগেছে।কিন্তু এখনো অক্ষত আছে এমন কিছু রেকর্ড দেখে নিন
১. স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ( অস্ট্রেলিয়া) : আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যাটিং গড়টা ১০০+ ই ছিলো। কিন্তু জীবনের শেষ ইনিংসে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়ে যাওয়ায় ব্যাটিং গড় নেমে যায় ৯৯.৯৪! তারপরও এটাকেই ধরা হয় সর্বকালে সেরা ক্রিকেট রেকর্ড হিসেবে।
২. শচীন তেন্ডুলকার (ভারত) : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য ১০০ সেঞ্চুরি করে তালিকার দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন।
৩. সোহাগ গাজী (বাংলাদেশ) : ১৩৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটোর হিসেবে একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও হ্যাট্রিক করে রয়েছেন তৃতীয় স্থানে।
৪. ব্রায়ান চার্লস লারা ( ওয়েস্ট ইন্ডিজ): টেস্টে এক ইনিংসে ব্যাট করে অবিশ্বাস্য ৪০০ রান! তালিকায় অবধারিতভাবেই চতুর্থ স্থানে ঠাই পেয়েছেন তিনি।
৫. জিম লেকার/ অনিল কুম্বলে (ইংল্যান্ড/ভারত): টেস্টে এক ইনিংসে ১০ উইকেট। রেকর্ড এর ভাগিদার দুই জন হওয়ায় তালিকায় পঞ্চম স্থানে নেমে গেছেন তারা।
৬. কুমার সাঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা ): বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করাই যেখানে বড় অর্জন সেখানে কিনা করে বসলেন টানা ৪ ম্যাচে সেঞ্চুরি।
৭. মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা ) : আান্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০০ উইকট নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেছেন মুরালিধরন।
৮. এবিডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ অাফ্রিকা) : একদিনের ক্রিকেটে ৩১ বলে সেঞ্চুরি করে তালিকায় অষ্টম স্থান দখল করেছেন তিনি।
৯. লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা ): আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হ্যাট্রিক অনেকেই করেছেন কিন্তু ডাবল হ্যাট্রিক একজনেরই আছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ অফ্রিকার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন মালিঙ্গা।
১০. মোহাম্মদ আশরাফুল : ১৩৬ বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার যিনি টিনেজার হয়েও টেস্টে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকান। রেকর্ড এর শুরু কেবল। আসল রেকর্ড হচ্ছে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সর্ব কনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। মাত্র ১৬ বছর ৩৫৩ দিনে এই বিশ্ব রেকর্ড গড়েন। মতান্তরে ১৭ বছর ৫৪ দিন।
১১. তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) : বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ৩ ফরম্যাটে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ও ব্যাক্তিগত সর্বচ্চ রানের ইনিংস খেলেন।
১২. হার্শেল গিবস/যুবরাজ সিং (দক্ষিন আফ্রিকা/ভারত) : এর আগে রেকর্ডটি ছিলো ভারতের রবি শাস্ত্রীর। তবে সেটা আন্তার্জতিক ক্রিকেট না হয়ে প্রথম শ্রেনীর হওয়ায় তার নাম বাদ পরে গেছে। অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম এই কীর্তি গড়েন যুবরাজ সিং। ২০০৭ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টি টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। একই বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে এই কাজটিই কারেন হার্শেল গিবস।
১৩. সাকিব আল হাসান: বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট-ওয়ানডে-টি টুয়োন্টি এই তিন ফরম্যাটেই একই সময়ে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হয়েছেন। সেটা আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েই।
১৪. শোয়েব আখতার ( পাকিস্তান ) : কেবলই একটি বল তাকে অমরত্ব দিয়েছে। ২০০ বছরের ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র বোলার হিসেবে ১০০ মাইল গতিতে বল করার গৌরব অর্জন করেন পাকিস্তানি এই গতিদানব।
১৫. তাইজুল ইসলাম: ১ ডিসেম্বর, ২০১৪ । রেকর্ডের বরপুত্র হয়েই কি না বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবির্ভাব হয়েছে তাইজুল ইসলামের? বোধহয় তাই-ই, টেস্টে দেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮ উইকেট-শিকারের কীর্তি নিজের করে নেওয়ার পর একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকেই দারুণ এক হ্যাটট্রিকে গুঁড়িয়ে দিলেন জিম্বাবুয়েকে। তাইজুলের এই হ্যাটট্রিকের মাহাত্ম্য অন্যরকম। ক্রিকেট ইতিহাসে অভিষেকেই হ্যাট্রট্রিক করা একমাত্র ক্রিকেটার যে তিনিই এরপর এই রেকর্ড এ নাম লিখিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকান কাগিসো রাবাদা। তাতে কি প্রথম হিসেবে তাইজুলের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ আর কারও নেই।
১৬. মুমিনুল হক: টেস্টে অভিষেকের পর থেকে টানা ১৩ টেস্টেই খেলেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। যেটা একটা বিশ্ব রেকর্ড। ভিলিয়ার্সেরও ১৩ টেস্টে ফিফটি প্লাস রান করার রেকর্ড থাকলেও অভিষেকের পর গত ১৩৬ বছরের ইতিহাসে এমটা আর কোন ব্যাটসম্যান করে দেখাতে পারেন নি।
১৭. তাসকিন আহমেদ: ২০১৪ জুলাই। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকে সবচেয়ে কমবয়সে ৫ উইকেটের রেকর্ড। অভিষেকে আরও অনেকেই ৫ উইকেট নিয়েছেন। কিন্তু তাসকিন আহমেদই একমাত্র টিনেজার হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেকেই তুলে নেন ৫ উইকেট।
১৮. মোস্তাফিজুর রহমান: তালিকায় নতনু সংযোজন মোস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেকেই টেস্ট ও ওয়ানডেতে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক সিরিজেই ৩ ম্যাচ সিরিজে সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। রেকর্ড এর মাহাত্ব্য আরও বেড়ে যায় যখন আপনি জানবেন রেকর্ডটি করা হয়েছে উপমহাদেশর মরা উইকেটে বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনঅাপ হিসেবে খ্যাত ভারতের বিরুদ্ধে।
১৯. ইলিয়াস সানি ( বাংলাদেশ): বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে ৫ উইকেট সহ ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন। তিন।
২০. ড্যারেন লেম্যান (অস্ট্রেলিয়া): বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভুমিকাতেই বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি।
সোর্সঃ ইন্টারনেট
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।