শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন
পরিবর্তন ডেস্কঃ
এ যেন উলটপূরাণ। এবার মুসলিম প্রধান দেশ হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে মাস্ক পরার অপরাধে শিক্ষকের হাতে শারীরিক নীগ্রহের শিকার হলেন নবম শ্রেণির ২ ছাত্রী।
অপরদিকে আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সন্দেহে ৯৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১০।
মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুর বাজার সংলগ্ন
ডি. বি ইউনাইটেড হাইস্কুলে।
উক্ত ছাত্রীদের অভিযোগ মঙ্গলবার স্কুল চলাকালীন সময়ে গনিত শিক্ষক ভবতোষ, মাস্ক পরার অপরাধে তাদেরকে কান ধরিয়ে সম্পুর্ন ক্লাসটিতে দাঁড়িয়ে রাখেন
এবং তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন মাস্ক পরে স্কুলে আসা যাবে না। যদিও ইসলামিক রাষ্ট্রে এটা অমানবিক এবং ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত বলে অভিযোগ অবিভাবক এবং সচেতন মহলের।
ছাত্রীরা উল্লেখ করেন, তাদের দাঁড় করিয়ে রেখে বাকিদের যথারীতি ক্লাস পরিচালনা করেন উক্ত শিক্ষক, যেটা দেখে তাদের সহপাঠীরা হাসাহাসি এবং উস্কানিমূলক দৃষ্টি-ভঙ্গি করেন।
ছাত্রীরা স্কুল ফিরে অবিভাবকদের জানালে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য উক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবিভাবকরা বলেন- ” ইসলামি রাষ্ট্রে শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্ত ধর্মীয় অনুভূতির অপমান এবং এখনই কঠিন সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে স্কুলের ছাত্রীদের বোরখার উপরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।”
অপরদিকে ছাত্রীরা লজ্জায় এবং অপমানে স্কুলে যেতেও অনীহা দেখাচ্ছে, যেটা তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে মারাত্নক হুমকির দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।
ছাত্রী/অবিভাবকদের নিকট আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ লিখিত আকারে উচ্চ পদস্থ মহলে জানানোর পর জানাবেন বলে গনমাধ্যমকে বলেন এবং বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি মহল ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগী ছাত্রীদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে দৈনিক পরিবর্তনের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তারা।
All rights reserved © 2020-2023 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।