শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
রফিকুল ইসলাম মামুন, বিশেষ প্রতিনিধি।
সিলেট সদর উপজেলার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বাংলাদেশের প্রাচীনতম প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহের মধ্যে অন্যতম আমানতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
১৮৫০ সালে প্রতিষ্টিত ৫৬ শতক ভুমির উপর নির্মিত বিদ্যালয়টি কালের স্বাক্ষী হিসাবে দাড়িয়ে আছে প্রতিষ্টালগ্ন থেকে যারা এ বিদ্যালয়ের ছাত্র/শিক্ষক ছিলেন তারা কেহ আজ ধরণীর বুকে জীবিত নেই।
একশত সত্তর বছরের প্রাচীনতম বিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত আসতে অনেক ঘাতপ্রতিঘাতের পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে, এই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২০২ জন কোমলমতি ছাত্র/ছাত্রীবৃন্দ লেখা পড়ায় রয়েছেন, শিক্ষক রয়েছেন পাঁচজন, নাইটগার্ড রয়েছেন একজন, পাঠদানের জন্য রয়েছে নতুন ও পুরাতন দুটি ভবন। নতুন ভবনটি বর্তমান সরকারের আমলে নির্মিত করা হয়, বছর দু বছর পূর্বে। কিন্তু ছাদের কাজে ত্রুটি থাকায় নতুন ছাদ দিয়ে পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ছে।
বিদ্যালয়ের অন্যতম সমস্যা হলো বাউন্ডারি গার্ডওয়াল না থাকায় গবাদিপশু প্রায়ই মাঠে চষে বেড়ায় এবং বিদ্যালয়ের গাছ গাছালির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত করে থাকে। পাশাপাশি দেশের প্রায় প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে ছাত্রছাত্রীদের হাত পা পরিষ্কার করার জন্য ওয়াশরুম নির্মিত করা হলেও আমানতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ পর্যন্ত ওয়াশরুম নির্মাণ করা হয়নি।
প্রাচীনতম এই বিদ্যালয়টিতে বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিগণ পদচারণ করেছেন, বিদ্যালয়টিতে একটি শহীদ মিনার ও শিশুদের প্রতিভা বিকাশে খেলাধুলার সামগ্রী আবশ্যক।
বিদ্যালয়ের (পিএসসি) পরীক্ষার পাশের হার ও তুলনামূলক ভাবে ভালো বিগত ২০১৯ সালের (পিএসসি) পরীক্ষায় ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহণ করে ৩৬ জন কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম একশত সত্তর বছরের পুরনো প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ইতিহাস ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রাণালয়কে একটি সুন্দর উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবী এলাকা সর্বস্থরের জনসাধারণের।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।