রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অভিশংসন থেকে অব্যাহতি পেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘ নাটকীয়তার পর অবশেষে অভিশংসন থেকে ট্রাম্পকে অব্যাহতি দিয়েছে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেট।
স্থানীয় সময় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেখানে ক্ষমতার অপব্যবহার সংক্রান্ত অভিযোগ থেকে ট্রাম্প মুক্তি পান ৫২-৪৮ ভোটে। কংগ্রেসকে অমান্য করার অভিযোগ খারিজ হয়েছে ৫৩-৪৭ ভোটে।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে অভিশংসিত হন মার্কিন প্রেডিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিম্নকক্ষ ডেমোক্রেটদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করতে বেগ পেতে না হলেও উচ্চকক্ষ সিনেটের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে থাকায় রক্ষা পেলেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ আনা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে, তিনি তার পদ ব্যবহার করে ডেমোক্র্যাট রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিলেন এবং অভিশংসনের তদন্ত কাজে সহায়তা করতে অস্বীকার করে ট্রাম্প কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন।
তবে বরাবরই নিজের বিরুদ্ধে আসা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। অপরদিকে আগামী নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।
ট্রাম্পের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পুরোপুরি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ডেমোক্র্যাটরা জানে যে, তারা তার কিছুই করতে পারবে না। সে কারণেই তারা তাকে অভিশংসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। এই ঘটনাকে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী প্রচারণার একটি কৌশল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার সিনেটের ভোটে আমেরিকার ৪৫তম এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে না সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
যদি এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হতো এবং ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হতেন তবে তাকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ওপর ছেড়ে দিতে হতো।
ট্রাম্পের আগে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে আরও দু’জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছিলেন। তারা হলেন, অ্যান্ড্রু জনসন এবং বিল ক্লিনটন। তবে ট্রাম্পের মতো তারাও শেষ পর্যন্ত সিনেটে অব্যাহতি পেয়েছিলেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।