বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ন
দেশে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত “নির্বাচন সংষ্কার আন্দোলন” মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ও নির্বাচন সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে নয়টি প্রস্তাবনা প্রদান করে গতকাল এ চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
তাদের দাবী মোতাবেক সরকারের নির্বাহী বিভাগ কোন প্রকার নির্বাচনী দায়িত্ব গ্রহন করতে পারবে না। সকল প্রকার নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যাস্ত করতে হবে। তবে তত্ত্বাধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার কোন দাবী নেই তাদের নয় দফায়।
তাদের মতে নির্বাচনের পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটলে নির্বাচনী অনিয়ম থাকবে না। এজন্য নির্বাচন কমিশনের জনবল কাঠামোর পরিবর্তনসহ তাদের নিয়োগ ও পদোন্নতিসহ একগুচ্ছ সংষ্কারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মোর্চাটি প্রথম শ্রেণীর মর্যাদায় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘ইউনিয়ন নির্বাচন কর্মকর্তা’ নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব করেছে এবং প্রচলিত পদ্ধতির নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ পদ্ধতির বিলুপ্তি চেয়েছে।
জানতে চাইলে এ্যাডঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নয় দফা’ বাস্তবায়ন করে দেশে একটি স্বাধীন ও স্থায়ী নির্বাচন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, আইনমন্ত্রী, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে আমরা পর্যায়ক্রমে চিঠি দিচ্ছি। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, সমাবেশ, সেমিনার, গণস্বাক্ষর ইত্যাদি কর্মসূচী প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করবো। সারাদেশে আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে নির্বাচন সংষ্কার আন্দোলনের কমিটি গঠন করবো।
মানুষের হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণকে সব নির্বাচনে ভোটদানে উৎসাহিত করতে দেশে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্থায়ী নির্বাচন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানসহ প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের দাবী জানিয়েছে মোর্চাটি।
নির্বাচন সংষ্কার আন্দোলনের সমন্বয় কমিটির একটি তালিকা এই প্রতিবেদকের হস্তগত হলে সেখানে সমন্বয়কারী হিসেবে বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল ও জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম’র যুগ্ম মহাসচিব মমিনুল আমীনের নাম দেখা যায়। এছাড়াও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি, গণ রাজনৈতিক জোট-গর্জো, বাংলাদেশ নাগরিক জোট-বিএনজে, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি-বিএইচপি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি (মেহেদী), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ কনজাভেটিভ পার্টি, বাংলাদেশ জনদল এবং সামাজিক সংগঠন নাগরিক ভাবনা ও সামাজিক শক্তি এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত রয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।