শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
রিপোর্টার সৈয়দ সালমান হোসেন
মাদারীপুরে অতিরিক্ত মদ্যপানে সাগরিকা (২০) ও পারুল আক্তার রুপা (২০) নামেরদুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় অসুস্থ্য অবসহাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরো তিনজন।
রাত্র আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটের সময় মাদারীপুর পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার লুৎফর রহমান মোল্লার বাসার ৪ তলায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যু দুই নারী সম্পর্কে একে অপরের বান্ধববি
নিহত সাগরিকা আহাম্মেদ শহরের উকিলপাড়া এলাকার মৃত কেএইচ শাকিল আহম্মেদ সাগরের মেয়ে ও পারুল আক্তার রুপা ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার মালেক মাতুব্বরের মেয়ে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত রাতে সাগরিকা আহাম্মেদ তার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপা, মা সাবিনা ইয়াসমিন পান্না, মামা বাবু ও বিভিন্ন কাজের সহযোগি ডালিয়া মিলে মদ্যপান করে নাচ গান করে ঘুমিয়ে পরেন। পরে হঠাৎ করেই তাদের চিৎকার চেচামেচি শুনে রুমে ছুটে যান বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার।
এসময় ফ্লোরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা আহম্মেদকে। এছাড়া অসুস্থ অবস্থায় সাগরিকার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপা, সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন, তার মামা বাবু ও ডালিয়াকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পারুল আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
সাগরিকার মামা বাবু বলেন, আমার ভাগ্নি কোথা থেকে যেন মদ নিয়ে এসে আমাকে খাওয়ার জন্য জোড়াজুড়ি করে। পরে বাধ্য হয়ে ভাগ্নীর মন রক্ষায় আমিও মদপান করি। পরে আমার আর কিছু মনে নেই। চোখ মেলে দেখি আমি হাসপাতালে। পরে জানতে পারি ওই মদ খেয়ে আমার ভাগনী ও তার বান্ধবী মারা গিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসাক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, সাগরিকা নামের এক নারীকে মৃত্যু অবস্থায় আনা হয়েছিলো। তবে মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি সাগরিকা তার বান্ধবী, মা ও মামা , এক আত্মীয় নারীকে নিয়ে মদ খেয়ে নাচ গান শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
এরপর সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, ঘটনাস্থানে তিনটি দেশীয় মদের বোতল পাওয়া যায়। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।