বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
এম এ বাশার কুমিল্লাঃ
বিশ্ব পরিবেশ দিবস এবার করোনা বিপর্যয়ের মধ্যেই রয়েছে প্রায় ২১০ দেশ। বিশ্বের ১৪৩ টি দেশে একযোগে পালিত হতো বিশ্ব পরিবেশ দিবস। ২১৭ গ্রাম ২২ টি ইউনিয়ন ও ২ টি থানা নিয়ে বিস্তির্ন এ উপজেলা। প্রাণীকুলের মাঝে এবারের জীববৈচিত্র্য ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়েছে। যেখানে মানুষের কোলাহল আর পদচারনায় মুখরিত থাকতো আর পর্যটন শহরগুলো সেখানে দখল করে নিয়েছে যেন করোনা ভাইরাস। সৃষ্টিকর্তার এ এক মহান শিক্ষা। আমাদের মানবসভ্যতার জন্য।
বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বাংলাদেশের নদী রক্ষার আনন্দোলন করে আসছেন। সিটিজি সংবাদ ডট কম এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বললেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের কারণে পরিবেশ বিপর্যয়, জলবায়ুর পরিবর্তন ও জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন।
আমাদের দেশে প্রভাবশালীদের আশ্রয়ে- প্রশ্রয়ে অসাধু চক্র নদ-নদী,খাল-বিল, হাওর-বাওর, নালা দখল করছে। এ ছাড়া দূষণ, মিল কারখানার বর্জ্য বিষাক্ত করে ফেলেছে নদীর পানি। নদী হারাচ্ছে নাব্যতা, দিনে দিনে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে নদীপথ, এমনকি পানি নিষ্কাসনের পথও। হারাতে বসেছি আমাদের সবুজ শ্যামল বাংলার অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীব বৈচিত্র। নেমে আসছে পরিবেশের মহাবিপর্যয়। সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে । তৈরি হচ্ছ জলাবদ্ধতা, নস্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট,ব্যহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা
পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মুরাদনগর থানা নির্বাহি অফিসার অভিশেক দাস বলেন,
নদী দখল ও দূষণকরে গাছপালা নিধন করে, বন উজারকরে ধ্বংসলীলা চালায় তারাই পরিবেশ দৃশন কারী। যারা বন্যপ্রাণী ও পশুপাখি শিকার ও ভক্ষণ করে,
গাড়ি, ও কলকারখানায় জীবাশ্ম তেল ও ক্যামিকেল ব্যবহার ও গ্রীন হাউজ গ্যাস (কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন প্রভৃতি) নির্গত করে পৃথিবীটাকে অগ্নিপিণ্ডে রুপান্তরিত করছে। প্রকৃতি ও জীবজগতকে প্রকম্পিত ও বিপন্ন করে ফেলছে। প্রকারান্তরে মানুষ আজ তার নিজের অস্তিত্বকেই হুমকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ মাটি পানি বায়ুসহ ইত্যাদির আন্তঃসম্পর্কের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সিস্টেমে বা ইকোসিস্টেমের (বাস্তুতন্ত্রের )সাথেই আমাদের জীববৈচিত্র্য ঘনিষ্টভাবে জড়িত।
পরিবেশের অবক্ষয় জীববৈচিত্র্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকার জন্যই জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। কেননা পরিবেশে উদ্ভিদ এবং প্রাণী একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
যেমন উদ্ভিদ সূর্যের আলো পানির সাথে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় খাদ্য তৈরী করে। উদ্ভিদ নিজে এ খাদ্য গ্রহণ করে এবং প্রাণীও এ খাদ্যের উপর নির্ভরশীল। প্রাণী নিজের খাদ্য নিজে তৈরী করতে পারেনা,কাজেই পৃথিবীর সকল প্রাণীর খাদ্যের জন্য উদ্ভিদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে নির্ভর করতে হয়।
তাছাড়া উদ্ভিূদ অক্সিজেন ত্যাগ করে মানুষ তা গ্রহণ করে এবং মানুষ কার্বন ড্রাই অক্সাইড ত্যাগ করে অক্সিজেন গ্রহণ করে। এছাড়াও অনেক উদ্ভিদ হচ্ছে কীটপতঙ্গের আবাস্থল। অর্থাৎ উদ্ভিদ এবং প্রাণী একে অপরের উপর নির্ভর শীল। প্রাণীকুল করোনাকালীন মহাবিপদের সময় পরিবেশ অনেকটাই তাদের নিজেদের মতকরে সাজিয়ে নিয়েছে।
এম এ বাশার কুমিল্লা
01673774220
05/06/2020
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।