রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
গিয়াস উদ্দিন উপ সচিব কক্সবাজার (ইয়াস)
কক্সবাজার সদর ঈদগাঁওতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে বাজারে ন্যায্যমূল্য না থাকায় দিশেহারা কৃষক।
ঈদগাঁওতে সবজির পাইকারী মূল্য মুলা ৬ টাকা, ফুলকপি ৮ টাকা ও পাতাকপি ৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উৎপাদিত সবজি এখন পানির দামে বিক্রি করছেন কৃষকরা।
বাজারে দাম কম তাই চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। সবজির চাষ করে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের সবজি চাষি আতাউল করিম বলেন, ঈদগাঁওতে সবজির চাহিদা না থাকায় স্থানীয় কৃষকরা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। কৃষকরা সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
স্থানীয় বাজারে যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা দিয়ে উৎপাদিত ফসলের খরচের অর্ধেকও উঠে আসবে না বলে জানান তারা।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) ঈদগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ১৮টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা আর বেগুন ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে মুলা ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, শীতের সবজি এবার আমরা পানির দরে বিক্রি করছি। তারা বলেন, মাঠ পর্যায়ে কৃষক তো আরও কম দরে আমাদের কাছে বিক্রি করেছেন।
এবারে সবজি চাষে কৃষক লোকসান ছাড়া লাভের মুখ কেউ দেখতে পাবে না। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিভিন্ন স্থানে মুলা, বেগুন, ফুল কপি, বাধা কপি যথেষ্ট আবাদ হয়েছে।
কার সবজি কে খায় এমন অবস্থা। এর প্রভাব পড়েছে কৃষক পর্যায়ে। তবে আলুর দাম বেশ চড়া। পুরাতন আলু বাজারে নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বার বার বৃষ্টির কারণে নতুন আলুর উৎপাদন কম, তাই এখনও নতুন আলু ৫০ টাকায় কিনে খেতে হচ্ছে।
সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়ন গজালিয়া গ্রামের কৃষক কালু মিয়া বলেন, এবার সবজি চাষ করে মাথায় হাত পড়েছে। চাহিদার তুলনায় স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন বেশি হওয়ায় এমনটি হয়েছে।
এবিষয়ে ঈদগাঁওয়ের এক কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। যেভাবে ফলন হয়েছে সেই অনুযায়ী বাজারে কৃষক দাম পাচ্ছে না বলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।