বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের নাজিরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে অশোভন আচরণের জেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বয়কটের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওইদিন বেলা ১১টায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজি আক্তারের কক্ষে এডিপি’র প্রকল্প যাচাই-বাছয়ের একটি সভা ছিলো। ওই সভায় চেয়ারম্যানরা নির্ধারিত সময়ে গেলেও ইউএনও তাদের সাথে কোন আলোচনা না করে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তার ব্যক্তিগত কাজ করছিলেন। চেয়ারম্যানরা এ সময় মিটিংএর কথা বললে তিনি তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন ও তাদের বসা চেয়ার ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন।
এ নিয়ে চেয়ারম্যানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে চেয়ারম্যানরা উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে ওই বিষয়ে আলোচনা করেন। এসময় তারা (ইউপি চেয়ারম্যান) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরবর্তী সকল আলোচনা সভা থেকে বয়কটের ঘোষণা দেন।
থানা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ওইদিন ইউএনও’র অফিস কক্ষে এডিপির প্রকল্প যাচাই-বাছাই এর সভা ছিলো। এতে নির্ধারিত সময়ে উপজেলার ৯ ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭ জন উপস্থিত হন। ওই মিটিং-এ পদাধীকার বলে এডিপি’র সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাষ্টার অমূল্য রঞ্জন হালদার আসলে তাকে একটি ছোট সাধারণ চেয়ার দেয়া হয়। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত কাজ করতে থাকেন।
তিনি বলেন, এ সময় চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মিটিং শুরু করতে অনুরোধ করলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে চেয়ারম্যানদের বসা চেয়ার ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন। পরে আমরা (চেয়ারম্যান) উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে গিয়ে ওই প্রকল্প যাচাই বাছাই বিষয়ে আলোচনা করি। তখন চেয়ারম্যান তাকে (ইউএনও) দাওয়াত দিলেও তিনি সেখানে যাননি। এ সময় চেয়ারম্যানরা তার অশোভন আচরণের প্রতিাবাদে তাকে বয়কট করেন।
এ ব্যাপারে সেখানে থাকা পদাধীকার বলে এডিপি’র সদস্য সচীব ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির মিয়া জানান, মিটিং-এ আমি কিছু বিলম্ব করে গিয়েছিলাম। আমি ইউএনও’র কক্ষে প্রবেশ কালে চেয়ারম্যানরা বের হয়ে যাচ্ছিলেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ওই ব্যাপারে (এডিপি) মিটিং হয়। এ সময় চেয়ারম্যানরা ইউএনওকে বয়কটের ঘোষণা দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেখমাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মো. মনিরুজ্জামান আতিয়ার জানান, ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে তিনি এর আগেও বিভিন্ন সময় শোভন আচরণ করেছেন। এসবের প্রতিবাদ হিসাবে তাকে বয়কট করা হয়েছে। তিনি যে মিটিংএ থাকবেন সেখানে আমরা যাবো না। অভিলম্বে তার অপসারণ দাবি করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তারের সরকারিমুঠো ফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।