সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
ভালো মানুষের রাজনীতি বিমুক্ত দেশের জন্য অকল্যাণ কর
তেমনি আপনার,আমার সচেতনতা ও নাগরিকদের সুচিন্তাধারা দেশের কল্যাণকর ভবিষ্যৎ বয়ে আনবে।
দেশে বিপদজনক রাজনীতিবিমুখ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে৷ এটা হতাশাজনক
যারা জিজ্ঞেস করলেই স্মার্টলি জবাব দেয়, ‘আমি রাজনীতি পছন্দ করি না৷’ শুধু নতুন প্রজন্মই নয়, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই রাজনীতি নিয়ে এক ধরনের অনীহা কাজ করে৷
কথা গুলো বলছিলেন বাংলাদেশ কংগ্রেসের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান। ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন,
এখন আর কেউ চান না, তার সন্তান ছাত্ররাজনীতি করুক৷ আর মন্ত্রী-এমপি-নেতা-আমলারা তো তাদের সন্তানদের বিদেশেই পড়ান৷ তাই দেশ, রাজনীতি, ছাত্ররাজনীতি গোল্লায় গেলে তাদের যেন কিছু যায় আসে না৷
এই প্রবণতা দেশ ও জাতির জন্য বিপদজনক৷ তাহলে কী আমরা নিজেরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকবো, আর জেনেশুনে দুর্বৃত্তদের হাতে দেশটা লিজ দিয়ে দেবো? এটাতো হতে পারে না।
ব্যাপারটা যদি এমন হয়, মেধাবীরা সব বিসিএস ক্যাডার হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে বা ভালো চাকরি নিয়ে বিদেশে চলে যাবে আর ছাত্র হিসেবে খারাপ এবং স্বভাবে মাস্তানরাই শুধু রাজনীতি করবে; তাহলে আমাদের কপালে সত্যি খারাবি আছে৷
কারণ সাধারণ নিয়মে যারা রাজনীতি করবে, তারাই ভবিষ্যতে এমপি হবে, মন্ত্রী হবে; রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণ করবে৷
একটু কল্পনা করলে বুঝবেন, ক্লাসের মেধাবী ছাত্রটি বিসিএস দিয়ে প্রশাসন ক্যাডারে গেল আর মাঝারি মানের ছাত্রটি রাজনীতি করলো ৷
যে ক্যাডার সার্ভিস এ গেল সে প্রমোশন পেতে পেতে সচিব হলো৷
আর মাঝারি ছাত্রটি ধাপে ধাপে মন্ত্রী হলো৷ এখন মন্ত্রণালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত কিন্তু মন্ত্রীই নেবেন, সচিব তা কার্যকর করবেন শুধু৷ তার মানে কম মেধাবীরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, আর বেশি মেধাবীরা তা কার্যকর করছেন৷
ব্যাপারটা যদি উল্টো হতো যদি মেধাবীরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার জায়গায় থাকতো, তাহলে তা দেশ ও জাতির জন্য আরো কল্যাণকর হতো ৷ এছাড়াও তিনি দেশের সৎ ও মেধাবী যুবকদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে দেশ গঠনে জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।