সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ অপরাহ্ন
মোঃ আরশাদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৃত. মৈজুদ্দীন সরদারের ওয়ারেশদের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধটি অবশেষে আদালতের রায়ের মাধ্যমে শান্তিপূর্ন্য ভাবে আপোষ মিমাংসা হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মামলার নথিপত্র ও সরেজমিনে তদন্তে জানা গেছে, ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের মৈজুদ্দীন সরদার ১৯৯৫ সালে মৃত্যু কালে ৬পুত্র, ২কন্যা ও ১স্ত্রী ওয়ারেশ হিসেবে রেখে মারা যান।ওয়ারেশরা হচ্ছে পুত্র মৃত মমিনুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ মোজাফফর হোসেন, মোঃ মুকুল হোসেন, মোঃ রেজাউল হোসেন, মোঃ আতাউর রহমান,কন্যা মৃত আমেনা খাতুন ও সেলিনা খাতুন এবং স্ত্রী মৃত লুৎফুন্নেছা। প্রসঙ্গত, মৈজদ্দীন সরদারের ১ম স্ত্রী ছখিনা খাতুন তাকে ছেড়ে দহাকুলা গ্রামের জবেদ আলী চৌকিদারকে বিয়ে করে সেখানে ঘরসংসার করে। সেখানে ঘরসংসার করা কালে জবেদ আলী চৌকিদারের ঔরসে এবং ছখিনা খাতুনের গর্ভে ২টি সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। জন্মের পরপরই বাচ্চা দুটি মারা যায় বলে এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেন তৎকালীন ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার স ম শহিদুল ইসলামসহ মৃত জবেদ আলী চৌকিদারের সহোদর ভাই সাবেক মেম্বার আনছার আলী ও শমছের আলী ওই গ্রামের তাজেলসহ একাধিক ব্যাক্তিবর্গ।কিন্তু উক্ত বিয়ের তথ্য গোপন করে ছখিনা খাতুনকে মৃত মৈজদ্দীন সরদারের ওয়ারেশ দাবি করে সাতক্ষীরার ল্যান্ড সার্ভে অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল ও সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এল এস মামলা নং- ১৮২/১৯ দায়ের করেন। উক্ত মামলায় গত ইং ২৬ আগষ্ট আদালতের বিচারক প্রবীর কুমার দাশ দীর্ঘদিনের বিরোধপূর্ণ জমির বিষয় রায় প্রদানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ভাবে আপোষ মিমাংসা হয়ে গেছে। আদালত রায়ের পর্যবেক্ষনে বলেন- মৈজদ্দীন সরদারের মৃত্যুকালে ছখিনা খাতুন অর্থ্যাৎ অত্র মোকর্দ্দমার বাদীপক্ষের মাতা বৈধ স্ত্রী বা ওয়ারেশদার ছিলেন না বলে প্রতীয়মান হয়।এমতাবস্থায় মৈজদ্দীনের বৈধ ওয়ারেশগন হচ্ছে ৬ পুত্র, ২ কন্যা ও স্ত্রী লুৎফুন্নেছা।বাদীপক্ষের আনীত অত্র মামলাটি বাদীপক্ষের প্রতিকুলে নিষ্পত্তি/ খারিজযোগ্য হওয়ায় খারিজ করে দেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।