শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৭:২১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা :
সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের পুত্র আ’লীগ নেতা আব্দুল মুজিদ দীর্ঘ আ’লীগের ১৭বছরের দুঃশাসনে এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে অতিষ্ঠ করে তোলে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আন্দোলন প্রতিহত করতে রামদা নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে বাঁধা দেয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বালিথার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে মোনাজাত করায় মসজিদের ভিতরে প্রকাশ্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণকারীদের জারজ সন্তান গালি দেওয়াসহ ইমাম ও মুয়াজ্জিনসহ মুসল্লীদের লাঞ্চিত করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ মসজিদ কমিটির পক্ষে স্থানীয় নুর ইসলাম বাদী হয়ে সাতক্ষীরার বিজ্ঞ আমলী ১নং আদালতে সি আর -১০২০/২৪(সাত) নম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর ৫ আগষ্ট সরকার পতনের দিন সন্ধ্যায় উত্তেজিত জনতা তার বাড়িঘর ভাংচুর করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাড়ির গেট বন্ধ থাকায় ব্যর্থ হয়।এঘটনায় আব্দুল মুজিদ বাদী হয়ে আদালতে চাঁদাবাজি ও বাড়িঘর ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগে সি আর – ১৪৪৭/২৪(সাত:) নম্বর মামলা দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া বালিথা গ্রামের আছের আলী গাজীর পুত্র রাসেল(২১),আ: রাজ্জাকের পুত্র এনামুল (২২), ও ফজলু গাজী,আবদুল আলিম,মিলন হোসেন, আজিজুল ইসলাম, আছের আলী এবং নুর ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট দাখিল করার জন্য আদেশ দেন। অথচ ৫আগষ্টের ঘটনায় সরকারি ভাবে কোন মামলা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও অদৃশ্য ক্ষমতার জোরে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ উক্ত মিথ্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করে। এরপর আসামিরা গত ৪জুন বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেওয়া ওই গ্রামের আছের আলীর পুত্র রাসেল ও আঃ রাজ্জাকের পুত্র এনামুল হক কে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে অবশিষ্ট ৬জনকে জামিন দেন।দীর্ঘ ১মাস জেল হাজতে থাকার পর গত ৩জুলাই উক্ত আসামিদ্বয় বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পায়।কিন্তু আসামিদ্বয় জেলখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি পৌঁছানোর আধা ঘণ্টা আগে আব্দুল মুজিদ নতুন নাটক সাজিয়ে নিজের বাড়িতে চকলেট বাজী ফুটিয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে তার বাড়িতে বোমা হামলার মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশকে হয়রানি করে।সরকার উৎখাতের পরও বহাল তবিয়তে থাকা আ’লীগ নেতা আব্দুল মুজিদ এখনো গ্রামের নিরীহ লোকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।গত ১৭বছর ধরে মুজিদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীদের এখনো হয়রানি করে যাচ্ছে। বিষয়টি জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বিডিএফ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আরশাদ আলী এ প্রতিনিধিকে জানান-আব্দুল মুজিদ ওয়ার্ড আ’লীগের সহ সভাপতি ও একজন মামলাবাজ ব্যক্তি।তার বিরুদ্ধে গ্রামের নিরীহ লোকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার বানিজ্য করা, ডাকাতিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। এসব করে সে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। তার কালো টাকার জোরে সে এখনো গ্রামের নিরীহ লোকদের হয়রানি করছে। তিনিসহ সচেতন এলাকাবাসী অবিলম্বে আব্দুল মুজিদকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।