সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন
হাবিল উদ্দিন,বাঘা,রাজশাহীঃ
না জানি এই মহামারীতে কবে নিজের সিরিয়ালটা চলে আসে। হয়তো চলে যাবো না ফেরার দেশে…. ক্ষমা করে দিবেন সবাই। এই সব কথাগুলো লিখেছিলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আবির হোসেন মিঠুন (২৫) নামের এক যুবক। গত (০৯ এপ্রিল)রাত ৮টা ৫ মিনিটের সময় আবির হোসেন তার নিজ নামীও ফেসবুক ওয়ালে কাল্পনিক লাশের ছবি সহ এ লিখা পোস্ট করে। মহামারী করোনার হাত থেকে ছাড়া পেলেও রক্ষা পায়নি বালুবাহী ট্রাক্টরের কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টায় বালুবাহী ট্রাক্টর মোটরসাইকেলসহ চাপা দিলে প্রাণ গেল আবিরের।উপজেলার প্রভাবশালীদের প্রভাবেই চলছে অবৈধভাবে বালী উত্তোলন। আর এই বালী পৌছে দিচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ বেপরোয়া গাড়ী। ফলে মাঝে মাঝেই সড়ক দূর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে তাজা তাজা প্রাণ।আবির হোসেন মিঠুন উপজেলার উত্তর গাঁওপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের (মাছ ব্যবসায়ী) ছেলে। বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ৭.৩০ মিনিটে বাঘা-আলাইপুর সড়কের ছাতারী গ্রামের সেলিমের বাড়ির সামনে ঘটে যায় এ দূর্ঘটনা। এ সময় মটরবাইকের সাথে বালুবাহী গাড়ী ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে আবির গাড়ি চাপা পড়ে। ঘটনা স্থল থেকে স্থানীয়রা আবির কে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থা আশংকাজনক দেখে তৎক্ষনিক কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মনিরা আবিরকে রামেক হাসপাতালে প্রেরন করেন। পরে রাজশাহী নেয়ার পথে মৃত্যু হয় আবিরের।এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে শোকের মাতম চলছে।
নিহতের ছোট ভাই রাসেল আহম্মেদ জানান, আমার ভাই সকালের নাস্তা করে মোটরসাইকেল নিয়ে তার মনিগ্রাম বাজারের কর্মস্থলে যাওয়ার পথে বালু ভর্তি টাক্টরের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। সে দীর্ঘদিন থেকে ওই দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। ভাই প্রতিদিন বাড়ি থেকে মোটরসাইলে যাতাযাত করত।
বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ করলে আইনী ব্যবস্থা নিব। তবে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও বালু ভর্তি টাক্টর উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।