সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন
এস,এম,শামীম (ফুলপুর)ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ-
মানবিক বন্ধুদের সহযোগিতায় তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার বাস্তবায়নে ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক হেলাল উদ্দিনের মুখে হাসি ফুটিয়ে স্বপ্নের ঘর তৈরি করে শুভ উদ্বোধন করেছেন । ২রা আগস্ট শুক্রবার বেলা ১১ টায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সদস্য, অত্র সংস্থার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সময় তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হান (রাব্বি), সাংবাদিক আবু রায়হান, স্বেচ্ছাসেবক সোহেল রানা, আলীম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উপজেলার ২নং রামভদ্রপুর ইউনিয়নের বাঘেধরা গ্রামে চা বিক্রেতা জামাল উদ্দিন(৬০) ও হাবিজা বেগম(৪৫) এর বড় ছেলে প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক হেলাল উদ্দিন(২৭) কে এ ঘর দেওয়া হয়। তার দুই মেয়ে ১ ছেলে। তাও ছেলে রাজিব(৪) প্রতিবন্ধী।
তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হান রাব্বি বলেন, ফুলপুর থানার সাবেক মানবিক ওসি মোঃ আব্দুল্লাহ আলা মামুন ও মোঃ মাহবুবুর রহমান মহোদয় এর উৎসাহে মানবিক বন্ধুদের সহযোগিতায় তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার বাস্তবায়নে ৩য় তম ঘর পেলেন প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক হেলাল উদ্দিন। তাদের ২ শতাংশ জায়গা থাকলেও থাকার মত কোন ঘর ছিল না? ছেড়া চটের বস্তা, কাপড়ে মোড়ানো, ভাঙ্গা টিন দিয়ে একটি ঘরে তারা বসবাস করত। তবে বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের প্রতিটা জায়গায় পানি পড়তো।তাদের মুখে হাঁসি ফুটাতে এ স্বপ্নের ঘর তৈরি করা হয়েছে । তিনি আরও বলেন, মানবিক মানুষদের সহযোগিতায় ২০১৭ সাল থেকে আপনাদের সংগঠন তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থা টি অসহায় মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কাজ করে আসছে যা অনেকেই অবগত আছেন। মানবিক মানুষগুলো এ সংগঠনটির পাশে থাকার কারণেই এখনো বিভিন্ন সেবা দিতে পারচ্ছি আমরা । আমরা অত্র ঘরের কাজটি শেষ করে চতুর্থতম ঘরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটি পাবে ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ধারাকপুর গ্রামের ভিক্ষুক আমেনা খাতুন(৭০)।
প্রতিবন্ধী হেলাল উদ্দিন এর ঘরটি আগের দুটি ঘরের চেয়ে একটু ভিন্ন। তবে মডেল একই। আগের দুটি ঘর ছিল ইট দিয়ে ধাইর সহ ফ্লোর করে খাড়া দুচালি। পাশে ১২ ফুট / লম্বা ১৪-১৫ ফুট। তবে এবারের ৩য় তম ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। পাশে ১৪ফুট / লম্বা ১৮-২০ ফুট, ইট দিয়ে ধাইর করে খাড়া দুচালি। অত্র ঘরে ফুলপুরের ইউএনও এ.বি.ম আরিফুল ইসলাম ২ বান ঢেউ টিন ও ৬ হাজার টাকার একটি চেক, জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান ভাই সাইডের বেড়ার ঢেউটিন সহ মানবিক মানুষদের দেওয়া অর্থ নিয়ে ঘরটি তৈরি করতে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা।
প্রধান অতিথি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, সৎ স্বেচ্ছাসেবক তরুণরা দেশ ও অসহায় অবহেলিত, বঞ্চিত জনগণের স্বপ্ন পূরণের প্রদীপ। ওরাই পারে অসহায় মানুষের স্বপ্ন পূরণ করতে। আমি বিগত কয়েক বছর ধরে পাশে থেকে দেখে আসছি অত্র সংস্থাটি মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ভিনা স্বার্থে রক্ত থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের যে কোন প্রয়োজনে পাশে থেকে তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। আর সব ধরনের সেবা দিয়ে থাকেন বলে আজ তারা অসহায় অবহেলিত জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আমিও অত্র সংগঠনের পাশে থাকতে পেয়ে খুবই গর্বিত।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।