বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
রাজু আহমেদ, জামালপুর প্রতিনিধিঃ
জামালপুর-ঢাকা রুটে বিআরটিসি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে জামালপুর থেকে ঢাকা রুটে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) বাস সার্ভিস চালু করা হয়। বুধবার বিকেলে শহরের ফৌজদারী মোড়ে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই বাস সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, জামালপুরের বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনসহ স্থানীয় জনসাধারণের প্রত্যাশা পূরণে এই বাস সার্ভির চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও স্থানীয়রাদের সবার সহায়তায় এই সার্ভিসটি আরও সামনে এগিয়ে যাবে। যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে বাসের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শীতেষ চন্দ্র রায়, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী মুনমুন জাহান লিজা, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, দৈনিক আজকের জামালপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক এম. এ জলিল, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) জামালপুরের সভাপতি শামীমা খান, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর বাস মলিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জার্নিসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে ফিতা কেটে বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, গত ২০১৯ সালে জামালপুর – ঢাকা রুটে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু স্থানীয় বাস মালিক সিন্ডিকেটের বাধার মুখে কয়েক মাস পর তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাস মালিকদের সিন্ডিকেটের কারনে জামালপুরে ভালো মানের বাস সার্ভিন ছিলোনা, ফলে সড়ক পথে চলাচলকারী যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হয়ে আসছিলো। এর প্রেক্ষিতে সনাক-টিআইবির ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা পুন:রায় বিআরটিসিসহ উন্নত বাসসেবা চালুর পাশাপাশি এই যাত্রী হয়রানী, নৈরাজ্য ও দুর্নীতি বন্ধের বাদিতে আন্দোলন শুরু করে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে প্রাথমিকভাবে বিআরটিসির দুটি এসি বাস জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা রুটে চালুর সিদ্ধান্ত হয়। বাস দুটি জামালপুরের ফৌজদারী থেকে নিয়মিত সকাল ৭টায় এবং রাত ১২টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শত বিশ টাকা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।