সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
আব্দুল্লাহ আল তৌহিদ
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
নিজ সহপাঠিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা আজ রবিবার বিকেলে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা বেগমগঞ্জ চৌরাস্তার মূল সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা চৌরাস্তা ব্লকেড দিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন এবং সবধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এ অবরোধে নোয়াখালী এবং লক্ষ্মীপুরের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রামের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী অনিমেষ দেব নাথ ও তাঁর দুই সহপাঠীর ওপর চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এর আগেও গত মাসে একই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যা দুঃখজনক। বক্তৃতায় এসিসিই বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মেহেদী বলেন, ঘটনার পরপরই আমরা নোয়াখালীর পুলিশের সাথে যোগাযোগ করি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেখানে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করা খুবই সহজ ব্যাপার। কিন্তু প্রশাসনকে এখনো কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সমাজকর্ম বিভাগের রিয়াদুল জান্নাত মারিয়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এক জুলাইয়ে আমরা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছি, আরেক জুলাইয়ে প্রয়োজনে আমরা এই সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের পতন ঘটাবো। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।
বিজিই ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন মহসিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে চুড়ি পরে বসে থাকার জন্য রাষ্ট্র বেতন দেয় না। যদি আপনারা ব্যর্থ হন তাহলে ছাত্রজনতা বাকিটা দেখে নিবে। এর আগেও আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তখন আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখি নাই। আমরা আজকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আপনাদের এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন সাধারণ শিক্ষকবৃন্দ। এপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল করিম বলেন, আজকের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এর পিছনে আমি মনে করি নড়বড়ে প্রশাসন এবং একটার পর একটা ঘটনা ঘটলেও কোনো সুষ্ঠু বিচার না হওয়া। আমি প্রশাসনের কাছে উদাত্ত আহ্বান জানাতে চাই, যারা হামলা করেছে তাদেরকে দ্রুত শনাক্ত করে বিচারেরে আওতায় আনেন।
সর্বশেষ শিক্ষার্থীরা আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়কে অবরোধ তুলে নেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।