মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ নাহিদ হাসান নিয়ামতপুর নওগাঁ প্রতিনিধি।
আমের নতুন রাজধানী নওগাঁ। এবার আম উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে এই জেলা। আমের ফলন হয়েছে বেশ ভালো। ইতোমধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আম। কিন্তু করোনা ও লকডাউনের কারণে আমের দরপতনে চাষিদের মুখে হাসি ফোটেনি। চাষিদের অভিযোগ, করোনার কারণে বাইরের ক্রেতার অভাবে আমের বাজার ও বিপণন নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় আড়তদার ও ফড়িয়ারা। এতে করে অনেক কৃষক আমের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এই সময় নিয়ামতপুরের 2 নং চন্দনগর ইউনিয়নের বেনীপুর বাজার কিছুই স্কুল পড়ুয়া ছাত্ররা করোনাভাইরাস চলাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে আম ব্যবসার সাথে লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
এই বছর নিয়ামতপুরের আম চাষ হয়েছে প্রায় ১১৩০ হেক্টর জমিতে। প্রায় ১০০ জাতের আম চাষ হয়েছে। তারমধ্যে অন্ততম ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, আমরুপালি, লক্ষণা, দুধসর, কালিভোগ, মোহনভোগ, ফজলি ইত্যাদি। নিয়ামতপুর উপজেলায় এই সময় আশঙ্কা হারে বাড়ছে করণা সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিশেষ লকডাউন এর চলছে নিয়ামতপুরের আম ক্রয় বিক্রয় কার্যক্রম ।লকডাউন এর শুরুর দিকে স্থানিয় প্রশাসন বলেছিলেন, আম কেনাবেচা বড় কোন সমস্যা নেই। করোনার সংক্রমণ চলায় ঢাকাগামী দূরের কোনো ব্যবসায়ী আসতেছেনা নিয়ামতপুর আম কিনতে। নিয়ামতপুরে বড় কোন আমের আরত না থাকার কারণে বিপাকে পড়েছে আমচাষি এবং এই রকম স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ব্যবসায়ীরা ।এই সময় বেনিপুর বাজারে স্কুল পড়ুয়া ছাএ সানোয়ার বলেন, এই বছর প্রায় ৪ বিঘা আম বাগান কিনেছেন।কিন্তু আমের দাম না থাকার কারনে পরেছেন নানা দুশ্চিন্তায়। উপজেলা কৃষি অফিসার আমির আব্দুল্লাহ অহেদুজ্জামান জানান, যেহেতু নিয়ামতপুরে বিষেশ লকডাউন চলছে সেহেতু বাইরে আম ক্রেতারা আসলে কে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে আম দেওয়া হবে। এই বছর নিয়ামতপুরে প্রায় ১৩৫৬০ মেট্রিক টন আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে । কৃষকদের কে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। যাতে করে তারা আম চাষ করে লাভবান হতে পারেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।