সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন
মামুন আলম,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি, নোয়াখালী ০২আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, নোয়াখালীর গর্ব জনাব এম এ হাসেম গতকাল রাত ১.২০ মিনিটের সময় রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল প্রায় ৭৭ বছর।১১-ডিসেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬-ডিসেম্বর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি।মৃত্যকালে স্ত্রী সুলতানা হাসেম, পাঁচ ছেলে, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন এম এ হাসেম।
বাংলাদেশ স্বাধীনের পূর্বে তামাক পণ্যের কেনা-বেচার মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করে তিনি আজ শিল্পবিপ্লবের অগ্রসেনানী।তখন চট্টগ্রামে গড়ে তুলেন এম এ হাসেম কর্পোরেশন। স্বাধীনতার পরে তিনি আয়রন,ইস্পাত, সিমেন্ট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদানির ব্যবসার মাধ্যমে ধীরে ধীরে গড়ে তুলেন পারটেক্স গ্রুপ।
পার্টেক্স গ্রুপ ও পার্টেক্স স্টার গ্রুপ থেকে আলাদা করে গড়ে তুলেন আম্বার গ্রুপ।এসব গ্রুপের অধীনে কোম্পানি রয়েছে ৬০টির ও বেশি। এগুলোর দায়িত্ব তার ছেলেদের হাতে দেন তিনি।তার স্ত্রী সুলতানা হাসেম ও পুত্রবধূরাও কোম্পানিগুলোর পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন।
এম এ হাসেম নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাষ্টি’র চেয়ারম্যান ছিলেন। এক সময় সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক(ইউ সি বি ব্যাংক) এর পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন। জনতা ইনসুরেন্স কোম্পানিও তিনি গড়ে তোলেন।
এছাড়াও তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করেছেন কাজীর হাট এম এ হাসেম কলেজ।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগেই বি এন পি’র সাথে তিনি রাজনীতিতে আসেন এবং নোয়াখালী ০২আসনের এম পি নির্বাচিত হন।বি এন পি সরকারের মেয়াদ শেষে ততত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সকল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের মতো তিনিও গ্রেফতার হয়েছিলেন। মুক্তি পেলেও তিনি রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
পরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তিনি রাজনীতি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেন।
তার ছেলে শওকত আজিজ রাসেল জানিয়েছেন উনাকে জানাযা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।