শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
জামান মৃধা, ডিমলা (নীলফামারী):
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গ্রামীণ রাস্তাসমূহ টেকসই এর লক্ষ্যে হেরিং বোল্ড বন্ড (এইচবিবি) করণ কাজে নিম্নমানের ইট, ইটের সলিং এ প্রায় ২ ইঞ্চি ফাঁকা, পাইলিং এর আরসিসি পিলারে রড কম করে দেওয়া ও মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করেও কোনো শুফল পাচ্ছে না বলে জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, নিম্নমানের ইট ও মাটি মিশ্রিত বালু দিয়ে গ্রামীণ এ ইটের রাস্তা নির্মাণ হলেও মানুষের কোনো উপকারে আসবে না। কারণ বর্ষা আসলেই রাস্তাটি ভেঙে নষ্ট হয়ে যাবে। এছাড়াও পাইলিং এর পিলারে রড কম করে দেওয়ায় সামান্য লোডেই আরসিসি পিলার ভেঙ্গে রাস্তা দেবে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
জানা গেছে, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ৫নং গয়াবাড়ী ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোল্ড বন্ড (এইচবিবি) করণ প্রকল্পের আওতায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫নং ওয়ার্ডের ছাত্তারের বাড়ি হতে শুরু করে সাবেক কিরেণ মেম্বারের বাড়ি হয়ে আকাশ কুড়ি সীমানা পর্যন্ত (১০০০ মিটার) রাস্তা এইচবিবি করণের নির্মাণ কাজ চলছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর মাধ্যমে রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় চলতি মাসের ২০/২/২৩ তারিখ। প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ লাখ ৮১ হাজার ১৫০ টাকা। কাজটি করছেন মেসার্স ফকির এন্টারপ্রাইজ, ফায়ার সার্ভিস সড়ক নীলফামারী নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা নির্মাণে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও নির্মাণ কাজের প্রথম ধাপ মাটিকাটা সম্পন্ন করে এইচবিবি পদ্ধতির প্রথমে রাস্তায় (মাটির উপর) তিন ইঞ্চি পরিমাণ বালুর দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে মাত্র এক থেকে দেড় ইঞ্চি। এছাড়াও প্রথম লেয়ারে ইটের সলিং এ ১ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা থাকার নিয়ম থাকলেও সেখানে ফাঁকা রয়েছে কোন কোন জায়গায় ২ ইঞ্চির উপরে।
ঠিকাদারের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ঠিকাদারের কথামত তারা কাজ করছেন। কাজ না করলে চুক্তি অনুসারে টাকা দিবেনা ঠিকাদার।
স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন চন্দ্র রায় বলেন, ঠিকাদার শুরু থেকেই অত্যন্ত নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তার কাজ করছে। আমরা অনেক বলেও কোন ফল পাচ্ছিনা। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় আমাদের কোন কথায়ই কর্ণপাত করছে না তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ওমর আলী বলেন, ডিমলা পিআইও অফিসে বলেও কোন কাজ হচ্ছে না। তারা এসে দেখে যান, ঠিকাদার আবার ওই ইট দিয়েই কাজ শুরু করেন।
ঠিকাদারের প্রতিনিধি (ছোট ভাই) আব্দুর রউফকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি পরে দেখা হবে বলে কেটে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মেজবাহুর রহমান বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে লোক পাঠানো হয়েছে। আসার পর রিপোর্ট দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।