মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি- মোঃ বেলাল উদ্দিন:
জনসেবার আড়ালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আলীনগর ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ।
আলীনগর ইউনিয়নে জনসেবার নাম করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের আশ্বাস দিয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে আলীনগর ইউনিয়নের ৭,৮ এবং ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ তবিরুন বেগম-এর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী একাধিক ভুক্তভোগী নারী বলছেন, সরকারি ভাতার তালিকাভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে তিনি টাকা নিলেও পরে আর কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
সরেজমিন অনুসন্ধানে ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউপি সদস্য কবিরুন বেগম অসহায়দের জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন সরকারি ভাতা, যেমন বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, কিংবা ভিজিডি কার্ডের তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দাবি করেন।
চিতলীয়া ওয়ার্ডের একজন অসহায় ভুক্তভোগী মহিলা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মহি উদ্দিন মাহিকে এই বিষয়ে অবগত করেন। পরবর্তীতে উনার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি সরকারি ভাতার কার্ড পাওয়ার আশায় ইউপি সদস্য তবিরুন বেগমকে টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর থেকে ওই ইউপি সদস্যের সাথে যোগাযোগ করার আর কোনো ফল পাননি তিনি।
ভুক্তভোগী মহিলা হতাশার সুরে বলেন, তবিরুন মেম্বারনি আমার কাছ থ্যেইকা টাকা নিলো, কইলো নাম উঠাইয়া দিবো। বেশ কয়েকবার উনার সাথে যোগাযোগ করছি, একবারও দেখা পাই নাই। এখন টাকাও ফেরত দেয় না, কার্ডও পাই না। গরিবের উপর এসব অবিচার চলতাছে।
কেবল এই একজন নয়, স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তবিরুন বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে একই কায়দায় অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীরা আরও বলেন যে, বিষয়টি নিয়ে তিনি কারো সাথেই স্বচ্ছ কোনো তথ্য দেন না এবং যোগাযোগ এড়িয়ে চলেন। জনসেবার নামে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির এমন কর্মকাণ্ডে আলীনগর ইউনিয়নের চিতলীয়া ওয়ার্ডসহ পুরো এলাকায় ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।
জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এমন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। অসহায় মানুষের কাছ থেকে নেওয়া এই অর্থ দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।