বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:২০ পূর্বাহ্ন
আহমেদ জসীম খান (লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জন্য ছোট ভাইদের কাঁটার বেড়ায় বড় ভাই মো. হারুনের পরিবার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার সকালে চরগাজী ইউনিয়নের চর আফজল গ্রামের এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়। ভুক্তভোগী হারুন ওই এলাকার মৃত মো. হাফেজ হোসেনের প্রথম সংসারের ছেলে। অভিযুক্তরা তারই বড় ভাই একই এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন ও আল-আমিন। তাঁরা হারুনের সৎ ভাই। গ্রামবাসীরা জানান, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি নিয়ে মৃত হাফেজ হোসেনের দুই সংসারের ছেলেদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সেজন্য স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে। জমি নিয়ে এ বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে হারুনের বসতঘরের প্রবেশমুখে ছোট ভাই জমির ও আল-আমিন কাঁটার বেড়া দেয়। যার কারণে ঘর থেকে বের হওয়ার পথ না থাকায় হারুনের পরিবারের সদস্যরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী। ভুক্তভোগী জানান, ঘটনার সময় তিনি বাড়িতে নাথাকায় । যে আমার ভাইয়েরা আমার ঘরের প্রবেশ পথ আটক করে। তার স্ত্রী রেহানা বেগম বাধা দিলে তাঁরা তাঁকে লাঞ্ছিত করার পাশাপাশি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ঘরের সামনে লাগানো বিদ্যুতের মিটারটি ভেঙে ফেলেছেন। ভুক্তভোগী আরো জানান, মা ভিন্ন হলেও আমরা সবাই একই বাপের সন্তান। কিন্তু আমার ছোট ভাইয়েরা যে কাজটি করেছে তা খুবই অমানবিক অসামাজিক। আমি এর বিচার চাই। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জমির উদ্দিন জানান, হারুনের বসতঘরের সামনের জায়গাটির মালিক তাঁর মা। যে কারণে, হারুনকে বারবার ঘর সরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও তিনি শুনছেন না। সেজন্য বাধ্য হয়ে তারা জায়গাটি বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছেন। চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফেরদৌস জানান, হারুনের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে তিনি সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখেছেন। এ সময় তিনি কাঁটার বেড়া সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীর ছোট ভাইদের বললেও তাঁরা তার কথা আমলে নেয়নি। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তুনু চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছে বলে জানান, ঘরের সামনে বেড়া দিয়ে কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা অমানবিক এবং অসামাজিক। তাই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।