সোমবার, ১৪ Jul ২০২৫, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
মোঃ বায়েজিদ আহমেদ, রায়গঞ্জ প্রতিনিধি
বসন্ত মানেই যেন ফুলের এক ছড়াছড়ি কান্ড।আমের পাশাপাশি আসতে শুরু করেছে লিচুর মুকুল। ডালে ডালে কুচি পাতা ভেদ করে আসতে শুরু করেছে সোনালী মুকুল। নতুন বাগান তৈরী,পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বাড়ছে লিচুর উৎপাদন।
লিচু গুলোতে ফাল্গুন মাসের প্রথম দিক থেকেই প্রচুর কুঁড়ি এবং মুকুলের সমারোহ হয়। গোটা লিচুবাগানের গাছগুলো মুকুলে মুকুলে ভরে গিয়েছে। এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। লিচু পূর্ণাঙ্গ ফলে রুপ নেয় কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে। প্রথমে মুকুল, মুকুল থেকে ফুল, ফুল থেকে গুটি এবং গুটি বড় হয়ে লিচু ফলে রুপ নেয়।
প্রতিটি পর্যায়েই লিচু গাছের বালাই ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব দেয়া প্রযোজন। তবে মুকুল আসার আগে এবং পড়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। কেননা, মুকুল ঝরে পড়েই লিচুর উৎপাদন বহুলাংশে হ্রাস পায়।
গান্ধিপোকা লিচু গাছের একটি ক্ষতিকর পোকা। এ পোকার স্ত্রী পোকাগুলো পাতার নিচের দিকে গোলাকার ফ্যাকাসে গোলাপি বর্ণের ১০-১২টি ডিম গুচ্ছ আকারে পড়ে থাকে। ডিম, নিম্ফ (বাচ্চা কীড়া) ও পূর্ণাঙ্গ পোকা এ তিনটি স্তরে লিচুর গান্ধিপোকা জীবনচক্র সম্পন্ন করে। নিম্ফ ও পূর্ণাঙ্গ পোকা রস চুষে খেয়ে লিচু গাছের ক্ষতি করে থাকে।
চলতি বছর লক্ষাধিক গাছে লিচুর মুকুল এসেছে। ফাল্গুণ মাসের শুরুর প্রথম থেকেই লিচুর উৎপাদনের জন্য অনুকুল আবহাওয়া রয়েছে বলে লিচু চাষী ও বাগান ব্যবসায়ীরা জানান। পুরনো লিচু বাগানের পাশাপাশি ফসলের আবাদী জমিতেও এবার অনেক উদ্যোক্তা লিচুবাগান তৈরি করেছেন। এককভাবে লিচুবাগান তৈরি ছাড়াও অনেক কৃষক আবাদি জমিতে সাথী ফসল হিসাবে লিচু গাছ লাগিয়েছেন।
অনেক জাতের লিচুর মধ্যে বেদানা, গুটি, মাদ্রাজি, বোম্বাই, মঙ্গলবাড়ী, মোজাফফরপুরী, চায়না-৩, কদমী সবচেয়ে ভাল। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ৩টি লিচুর জাত উদ্ভাবিত করেছে বারি লিচু-১, বারি লিচু-২ ও বারি লিচু-৩।
লিচুচাষী ও লিচুবাগানের মালিকরা রুটিন মাফিক লিচু গাছের পরিচর্যা সহ কীটনাশক স্প্রে করে লিচু উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফুটপাম্প এবং পাওয়ারপাম্প দিয়ে লিচু গাছে স্প্রে চলছে। এরোকম চিত্র দেখা যাচ্ছে রায়গঞ্জে বিভিন্ন এলাকায়। রায়গঞ্জ লিচুচাষীরা জানান, চলতি বছর লিচুর ফলন গত বছরের ফলনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।