শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন
জুয়েল হাসান সম্রাট ডুমুরিয়া(খুলনা) প্রতিনিধি
ভদ্রানদীর উপর নির্মিতব্য চটচটিয়া ব্রীজের নির্মাণকাজ শেষ হলেই খুলনার দখিনের তিন উপজেলা ও সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জনসাধারনের যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমবে। সেতুটির ৮৫ভাগ ইতোমধ্যে নির্মাণ শেষ হয়েছে।প্রায় সাড়ে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি বাস্তবায়ন করছে স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে চটচটিয়া-শিবনগর ব্রীজটির উদ্বোধন করেন।
ভদ্রা নদীর ওপর চটচটিয়া-শিবনগর সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলেই খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলা এবং সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ কমে যাবে। সাশ্রয় হবে সময় ও অর্থ। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার বসুন্দিয়া বাজার হয়ে (চটচটিয়া-শিবনগর) সড়কের ভদ্রা নদীর ওপর ৩১৫ দশমিক ৩০ মিটার লম্বা পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে সেতুর ৮৫ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক দীর্ঘ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বিশাল বাজেটের এ সেতুটি নির্মাণ কাজ চলছে। ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী ইউ পি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি বাবু বিমল কৃষ্ণ সানা জানান এলাকাবাসীর দাবি ছিল, উপজেলার চটচরিয়া-শিবনগন ভদ্রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের। খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষিজ পণ্য উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। খেয়া পারাপারসহ মানুষের নানামুখী দুর্ভোগ মেটাতে পণ্য আনা নেয়া ও যাতায়াতের জন্য সেতুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান,সেতুটির নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮৫/৯০ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
খুলনা-৫ ( ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেন, খুলনার দক্ষিনের তিন উপজেলা ডুমুরিয়া, পাইকগাছা ও কয়রা কৃষি ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর। তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তি হয়। দীর্ঘ পথ যানবাহনে চলাচল করতে একদিকে যেমন সময় ও অর্থ ব্যয় হয় অপরদিকে ভোগান্তিও হয়। সেদিক বিবেচনা করে বর্তমান সরকার আমলে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে এ অঞ্চলের মানুষেরা সহজে খুলনা শহরে যেতে পারবে। কাঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতা দিপংকর রায় বলেন সেতুটি ইউ পি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা এবং এম পি নারায়ন চন্দ্র বাবুর ঐকান্তিক চেষ্টার ফসল।এ সেতুটি ব্যবহার করে কয়রা উপজেলা থেকে খুলনার দূরত্ব কমে যাবে প্রায় ২৫ কিলমিটার।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।