রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন
রনি হোসেন, কেশবপুর, যশোর
যশোরের কেশবপুরের সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলায় হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা মারপিট ও ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলার এজাহারে। প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়ে এরইমধ্যে হয়েছেন সাবেক। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এমপি নির্বাচিত হন। তবে সরকার পতনের কারণে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় তিনি বেশি দিন ভোগ করতে পারেননি এমপি’র স্বাদ। তিনি প্রথমদিন সিএনজিতে সংসদে যাওয়ায় নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ওবায়দুল কাদেরকে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করে ফেসবুকে পোস্ট ফের আলোচনা-সমালোচনার শীর্ষে ওঠেন।
গত বৃহস্পতিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামের আব্দুস সালাম বিশ্বাসের ছেলে মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
আসামিরা হলো, কেশবপুরের সাবদিয়া গ্রামের দবির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, বাবলু গাজীর ছেলে টিপু সুলতান, ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত রফিক খন্দকারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, জহর মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, তবিবর রহমানের ছেলে তুষার, আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে জমির হোসেন, আলতাপোল গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে সৌরভ হোসেন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসান, রাজার ছেলে আশিক, দীপু দাসের ছেলে সুজন দাস, খতিয়াখালি গ্রামের অধ্যায়িত দাসের ছেলে শ্রীকান্ত দাস, ব্যাশডাঙ্গা গ্রামের নিজামুদ্দৌলার ছেলে তানজিম, লক্ষীনাথকাটি গ্রামের আলাউদ্দিন দফতরীর ছেলের তরিকুল ইসলাম, পাথরা গ্রামের হালিমের ছেলে পারভেজ, কেশবপুর শাহাপাড়ার কার্তিক সাহার ছেলে প্রান্ত সাহা, মাগুরডাঙ্গা গ্রামের মারুফ হোসেন ও চিংড়া গ্রামের তুহিন রেজা।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচীর আলোকে দুপুর আড়াইটায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেশবপুর কলেজ মাঠে আসতে শুরু করে। পোনে ৩ টার দিকে সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অপর আসামিরা কলেজ মাঠে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারী হাসান ও তানজিম সমম্বয়ক মিরাজুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতের সময় ঠেকাতে যেয়ে অহিদুর রহমান অন্তুর হাতে লেগে গুরুতর জখম হয়। আসামি তরিকুল ইসলম চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আব্দুল হালিমের মাথায় আঘাত করে জখম করে। এছাড়া আসামি পারভেজ ও অপর আসামি পারভেজ রামদা দিয়ে কুপিয়ে সাহেদ আলী, মাছুম, মিরাজ ও পলাশকে জুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া অপর আসামিরা শিক্ষার্থীদের লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের প্রথমে কেশবপুর পরে কয়েকজনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পলাশকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম ও অপর আহতের চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় এ মামলা করেছেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।