মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫২ অপরাহ্ন
বিকাশ বড়ুয়া
বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সেই রোহিঙ্গাদের দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না কোনভাবেই, নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।করোনা মহামারির প্রকোপ যেনো রোহিঙ্গা শিবিরে হানা দিয়েছে,করোনার মহামারির জন্য কক্সবাজারকে এখন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছে, দেশের প্রথম রেড জোন হিসেবে কক্সবাজার জেলাকে ২০শে জুন পর্যন্ত লক ডাউন ঘোষনা করা হচ্ছে।
বন্ধ আছে সকল হোটেল-মোটেল এবং পর্যটন কেন্দ্র। সেই কক্সবাজার থেকে অবাধে পাশের জেলা বান্দরবানে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা,তাই ঝুঁকিতে আছে বান্দরবান জেলাও। যেখানে বান্দরবান শহরে বিনা কাজে প্রবেশ করলেই পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়, জরিমানা,এমনকি জেলও হতে পারে,অনেক পর্যবেক্ষনে রয়েছে বান্দরবান জেলা,কোভিড ১৯ করোনা মোকাবিলা করার জন্য। অথচ সেই প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বান্দরবানে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা,কখনো নদী পথে,আবার কখনো পাহাড়ের ভিতর দিয়ে।বান্দরবান জেলার ৩নং ওর্য়াড কালাঘাটায় রয়েছে রোহিঙ্গাদের একটি পাড়া ফানছির ঘোনা। সেখানে অনেক রোহিঙ্গা জনগোষ্টি বসবাস করে আসছে অনেকদিন ধরে। তাদের নেই কোন আইডি কার্ড। সেখানকার একজন স্থানীয় বাসিন্দা,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন নয়নের ভাষ্যমতে দু-এক দিনে আগে হয়তো প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কিছু রোহিঙ্গা ফানছির ঘোনায় প্রবেশ করে তাদের পরিচিত মানুষের বাড়িতে ওঠেছে। মানছে না কোন হোম-কোয়ারান্টাইন,স্থানীয় কিছু যুবকের সহযোগিতায় অবাধে ঘুরে বেরাচ্ছে যেখানে সেখানে।(দু-একটা সুন্দরী অবিবাহিত রোহিঙ্গা নারীও রয়েছে)
যার কারনে স্থানীয়কিছু বকাটে যুবক ছেলেদের হাত করে ফেলেছে। প্রতিবেশীরা কেউ কিছু বললে,তাদের আরো চোখ রাঙ্গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ফানছির ঘোনা এলাকার প্রবীণ মুরুব্বী মোঃনবী হোসেন এবিষয়টি ৩নং ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবু অজিত কান্তি দাশকে ফোন করে জানালে বিষয়টি তিনি যাচাই করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন।
কালাঘাটাবাসীর দাবি যেন রোহিঙ্গারা কালাঘাটায় কোনভাবেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ না পায়,এমনিতে ওই ফানছির ঘোনা এলাকায় প্রতিদিনই লেগে থাকে ঝগড়া-বিবাদ।
সম্প্রীতির বান্দরবানে যাতে সম্প্রীতির বন্ধনে অটুট থাকে সবার এই একটিই চাওয়া।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।