রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ অপরাহ্ন
(বগুড়া) প্রতিনিধি:
প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ দুর্নীতির করে যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখা হতে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাত এবং ব্যাংকের ১৬ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪২১ টাকা ৭ পয়সা ক্ষতির অভিযোগ এনে দায়েরকৃত মামলায় ব্যাংকের তৎকালীন শাখা ব্যবস্থাপকসহ চাকুরীচ্যুত ৫ কর্মকতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ তারিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর গত ৩০ জুলাই স্বাক্ষরিত এই মামলার অভিযোগপত্র বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত যমুনা ব্যাংক বগুড়া শাখার সাবেক (বর্তমানে চাকুরীচ্যুত) ৫ কর্মকর্তরা হলেন রংপুর মহানগরীর জিএল রায় রোডের (বাড়ী নং ১৮০/১) মোহতাসিম বিল্লাহের ছেলে তৎকালীন এভিপি ও শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ সাওগাত আরমান (৪৫), নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁর মুনসুর রোডের সিরাজুল হকের ছেলে সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ রেজওয়ান হক (৪১), বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পারতিতপরল এলাকার মৃত আব্দুল জলিল আহম্মেদের ছেলে সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম (৪৩), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাইটকাপাড়ার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাবেক অফিসার মোঃ আব্দুর রউফ (৪০) এবং বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চক কল্যাণী এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে সাবেক এফএভিপি ও সাব- ম্যানেজার মোঃ নুরুল ইসলাম (৫২)। উল্লেখ্য, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত বগুড়া জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে গত ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর এই মামলা দায়ের করেন। এই মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে,আসামিরা যমুনা ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখায় কর্মরত থাকাকালে ব্যাংকের নিয়ম নীতি অমান্য করে প্রধান কার্যালয়ের কোন অনুমোদন না নিয়ে কিছু সুবিধাভোগী ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে টেন্ডার সিকিউরিটি,পারফরমেন্স জামানত পে-অডার ইস্যুকালে ব্যাংকের প্রাপ্য কমিশন ও সরকারের ভ্যাট, ষ্ট্যাম্প চার্জ এবং মার্জিন গ্রহন না করে আসামিরা যোগসাজসে প্রতারনা ও জালিয়াতিসহ দুনীতির মাধ্যমে ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাত করে ব্যাংকের ১৬ কোটি ২২ লাখ ৪২ হাজার ৪২১ টাকা ৭ পয়সা ক্ষতি করেন।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।