রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্টঃ
ঈদের দিন ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের প্রধান নেতা ঈসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছেন। ছেলে ও পরিবারের সদস্যদের হারানোর পরও অবিচল রয়েছেন তিনি। এমনকি এরপর তিনি হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্য শুনে কেঁদেছে মুসলিম বিশ্ব।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হানিয়ার ছেলেদের লক্ষ্য করে গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালানো হলে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুর বিষয়টি আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন হানিয়া নিজে। সংবাদমাধ্যমটিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলায় কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির এবং মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন। তবে সন্তানদের মৃত্যুতেও বিচলিত নন হামাস প্রধান।
আলজাজিরাকে তিনি বলেছেন, শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিরা আশা তৈরি করে, ভবিষ্যৎ তৈরি করে, মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করে। তিনি আরও বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়।
হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, কোনো সন্দেহ নেই এই শত্রুরা প্রতিশোধ, হত্যা এবং রক্তপাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং তারা কোনো আইন মানে না। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত তার পরিবারের ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন হামাস প্রধান।
ইসমাইল হানিয়া আরও বলেন, তার ছেলেদের হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধের গতিপথ বদলাবে না এবং হামাস যুদ্ধবিরতির দাবি থেকে একটুও সরে আসবে না। ফিলিস্তিনি এই নেতা আরও বলেন, যদি ইসরায়েল মনে করে সন্তানদের লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে। ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, আল শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হানিয়ার ছেলেরা নিহত হয়েছেন। সেখানে বেসামরিকদের বহনকারী একটি গাড়িতে ইসরায়েলি বিমান থেকে হামলা চালানো হয়।ঈসমাইল হানিয়ার পরিবার-পরিজন গাজাতে থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তিনি কাতারে বসবাস করেন। সেখান থেকেই দলটির সব কার্যক্রম পরিচালনা করেন ফিলিস্তিনি এই নেতা।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।