শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন
আহমেদ জসীম খান( লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি) লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌর ৭নং ওয়ার্ড পীর পাড়ায় সৈয়দ আহম্মদ মসজিদের নাম ব্যবহার করে তার ছেলে মাহমুদুর রহমান মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ বেড়িবাঁধের ঢাল কেটে নির্মাণ করেছে টিনসেড ঘর এমটাই অভিযোগ করেছেন এলাকার সাধারণ জনগণ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ আহম্মদ মসজিদের নাম ব্যবহার করে মাহমুদুর রহমান কর্তৃক দখল করা বেড়ি বাঁধের ঢাল, পানি প্রবাহের খানাখন্দক ও রাস্তা দখল সৈয়দ আহম্মদ মসজিদের নাম ব্যবহার করে তার ছেলে মাহমুদুর রহমান কর্তৃক দখল করা হয়েছে বেড়িবাঁধের ঢাল, পানি প্রবাহের খানাখন্দক ও রাস্তা। পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পীরপাড়া সড়কের বেড়ির মাথার অংশে এ দখল উৎসবে মেতে উঠেছে সৈয়দ আহাম্মদের ছেলে মাহমুদুর রহমান। এলাকার মানুষের সম্পৃক্তাহীন ভাবে সে পানি প্রবাহের খানা খন্দকের খাস যায়গার উপর গড়ে তুলেছে এ মসজিদ। ধীরে ধীরে খুব সন্তর্পনে শত বছরের পুরনো মানুষ চলাচলের পথ ও পানি নিষ্কাশনের খানাখন্দকটুকু দখল করে ফেলেছে ঠান্ডা মাথায় কুট কৌশলের মাধ্যমে। তার এ অবৈধ দখলের কারণে বর্ষায় পুরো গ্রাম সহ পাশ্ববর্তী সমবায় গ্রামের বাড়ীঘর জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত থাকে। চরম ভোগান্তিতে পড়ে এ দু’ গ্রামের হাজারো মানুষ।ভূক্তভোগীরা, জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ড্রেন ও রাস্তা নির্মানের দাবী জানান। স্থানীয় আবুল কাশেম, বেলাল হোসেন, রায়হান খন্দকার সহ অনেকে জানান, অবৈধ দখলদার মাহমুদুর রহমানের কাছ থেকে পৌর ৭নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ী, বাসু মাঝি বাড়ী, খালেক খলিফার বাড়ী, কালাম মেস্তরীর বাড়ী সহ শতাধীক বাড়ীর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ দখলকারী মসজিদ ও পাশের যায়গাটুক উদ্ধার করা হোক। এ যায়গাটুকু এ এলাকার মানুষের চলাচলের পথ হওয়ায় আমরা এলাকার মানুষ তার বাবার নামে মসজিদের নাম ব্যবহার করে দখল করে গড়া টিনসেড বারান্দাটি ভেঙ্গে সেখান দিয়ে শত বছরের পুরনো পানি প্রবাহের পথ ও সড়ক নির্মানের জোর দাবী জানায়। মাহমুদুর রহমান তার দখল বানিজ্য অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার যায়গায় মসজিদ নির্মাণ করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তন্ময় জানান, বিষয়টি সরেজমিন পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। অবশ্যই দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।