রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন
ওমর ফারুক আকাশ,
গুইমারা প্রতিনিধি:
প্রতি বছরের মত এবারও খাগড়াছড়ি গুইমারায় জমে উঠেছে কাঁঠালের বাজার। সপ্তাহের দুইদিন শনিবার এবং মঙ্গলবার বিক্রেতারা কাধে, সাইকেলে, ঠেলা, রিকশা ও ট্রাক রিজার্ভ করে কাঁঠালসহ অন্যান্য মৌসুমি ফল বাজারে এনে বিক্রি করছে।
গুইমারাকে কাঁঠালের রাজধানী বলা হয়ে থাকে। এখানকার ফল খেতে সুস্বাদু হওয়ায় তার সুনাম ও সুখ্যাতি দেশের সর্বত্রই। তাই ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে এখন সরগরম হয়ে ওঠেছে গুইমারা উপজেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন গুইমারা বাজারে।
কথিত আছে এই কাঁঠালের বাজার দেশের বৃহত্তম। এ বাজার থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার কাঁঠাল চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে এ বছর প্রাণঘাতী করোনা ও লকডাউনের কারণে দেশের অনেক জেলা থেকে পাইকার আসতে পারছেন না। যার পলে কাঁঠালের দাম অনেক কম। কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে এবং হতাশায় ভুগছেন বাগান মালিকসহ কাঁঠাল বিক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মহালছড়ি, মারিষ্যা, ও তবলছড়ি, তাইদং মাটিরাঙ্গা পৌর এলাকাসহ পাশ্ববর্তী মানিকছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাগানিরা কাঁঠালের স্তুপ সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রির অপেক্ষায়। প্রতিটি স্তূপে রয়েছে শত শত কাঁঠাল। পাইকারি ক্রেতারা দরদাম করে কিনছেন কাঁঠাল।
কাঁঠাল বাগান মালিকরা জানান, করোনার কারণে মন্দাভাব বিরাজ করছে জাতীয় ফল কাঁঠালের বাজারে। এবার কাঁঠালের ফলন ভালো হলেও বিক্রি হচ্ছে গত দুই বছরের অর্ধেক দামে।
এদিকে করোনায় বেপারি কম আসায় ভরা মৌসুমে কাঁঠালের যথাযথ মূল্য না পাওয়ার আশংকা রয়েছে তাদের।
গুইমারা বাজার ইজারাদার আনন্দ সোম জানান, গত ১ জুন মঙ্গলবার থেকে কাঁঠাল বেচাকেনা শুরু হয়েছে। দেশের মধ্যে গুইমারা বাজার কাঁঠালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গুইমারার কাঁঠাল সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সকল জেলাতে নিয়ে যায় পাইকাররা।
তিনি আরো জানান, করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজারে কাঁঠাল বেচাকেনা চলছে। এবং ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে এই বিষয়ে সচেতন করা হয়েছে। কাঁঠাল বেচাকেনা চলবে প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। করোনার প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীদের থাকার কথা ভেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।
গুইমারা উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর কাঁঠালের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তিনি আরো জানান, মৌসুমী ফল কাঁঠালের রয়েছে আর্থিক গুরুত্ব। কৃষকরা এ মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সংসার পরিচালনার জন্য আয়ের একটি বড় অংশ অর্জন করে থাকে। কাঁঠাল বিক্রি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন চাষী থেকে শুরু করে ঠেলাগাড়ী ওয়ালা, রিক্সাচালক, বেপারী ও বাজার ইজারাদার।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।