শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৮ অপরাহ্ন
মোঃ ইউসুফ খাঁন (নীলফামারী) জেলা প্রতিনিধি (ইয়াস)
নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় শতবষরী জীর্ণ কুটিরের ঝড়-বাদলে হুমড়ি পড়া ভাঙ্গা ঘরে, পলিথিন মুড়িয়ে ঝড়-বৃষ্টিতে কুপির আলোতে নিঃসঙ্গ রাত্রিযাপন কারিণী ৭০বছর ছুঁই ছুঁই তপিজোনের এখন রঙিন বাড়ি।তিনি উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দাস পাড়া গ্রামের আজিজার রহমানের স্ত্রী। দুই যুগ আগে স্বামী পরিত্যক্তা তপিজোনের শৈশব-কৈশোর সবই যেন কেটেছে দারিদ্রের কষাঘাতে। বৈবাহিক জীবনে দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জননী। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সন্তান-সন্ততিকে লালন পালন করলেও সেই সন্তান-সন্ততি এখন পর। খোঁজ খবর নেওয়ার সময় রাখে না কেউ। বয়সের ভারে অনেকটাই নুয়ে
পড়েছেন তিনি । জীবনের শেষ সম্বল সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক ভাতার যৎসামান্য টাকায় চলে তার রুটি-রুজির ব্যবস্থা। মরিচায় জরাজীর্ণ হুমড়ি পড়া একটি ঘর। ঘর নির্মাণের ছিলনা কোন টাকা-কড়ি। আছে শুধু বেঁচে থাকার আকুতি। যিনি সুদীর্ঘ ৫০ বছর ধরে বেঁচে আছে নিরবে। বৃদ্ধা তপিজোন বেগমকে কেউ নেই দেখভাল করার। তার এই দুঃসময়ে অসহায়ত্বের মানবেতর জীবন যাপনের প্রতিচ্ছবি, ভেসে উঠে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রোকসানা বেগমের। তিনি আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর বরাদ্দ দেন। মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার থাকবেনা কোন গৃহহীন পরিবার এই শ্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে,
আত্নমানবতার ব্যথায় ব্যথিত গৃহহীন পরিবারের আলোকবর্তিকার
মমতাময়ী মা ও জাতির জনকের শ্রেষ্ঠ অবদান জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা নির্মাণ ব্যয়ে দুই রুম বিশিষ্ট একটি আধা পাকা ঘর, রান্নাঘর, ও স্বাস্থ্যসম্মত
ল্যাট্রিন পাওয়ার প্রতীক্ষায় শেষ জীবনের অনাকাঙিক্ষত মাথা গোজার ঠাঁইয়ের রঙিন বাড়ি পদার্পণের অপেক্ষায় শেষ জীবনে তপিজোনের মুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্নে রাঙ্গানো রঙিন হাঁসি।
উপজেলা নিবার্হী অফিসারের দফতর থেকে জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী খাস জমিতে নৈসর্গিক প্রকৃতির নির্মল বাতাসে, একটি মুজিব বর্ষ ভিলেজে তপিজোন বেগমের দৃষ্টিনন্দন ঘর নির্মাণের পাশাপাশি অন্য ১৪০টি নীড় হারা সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলোর জন্য ঘর নির্মান দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। উপকারভোগী তপিজোন বেগম বিনামূল্যে ঘর পাওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সাথে ছবি আছে।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।