মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও হিমাগারের ব্যবসায়ীরা আলু মজুদ রেখে দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। সপ্তাহ দু-এক আগেও যে আলু প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকায় কেনা যেত, এখন তা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষে সাধারণত আলুর দাম কিছুটা বাড়ে। এ বছর আগাম আলুর আবাদ বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দাম একটু বেশি হারে বেড়েছে।
এদিকে বাজারে পেঁয়াজ, আদা ও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। দর বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের। তবে সার্বিকভাবে সবজির বাজার এখনো চড়া। বেশির ভাগ সবজির দাম এখনো প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার বেশি।
ঠাকুরগাঁও খুচরা বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে হঠাৎ আলুর দাম বেশ বড় লাফ দেয়। পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে এর আগের সপ্তাহে। ঠাকুরগাঁও গোবিন্দনগর আলুর আড়তের দোকানের বিক্রয়কর্মী ফজলু গতকাল সোমবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) আলুর দাম ছিল ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। এখন তা ২০০০ হাজার ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ হিসেবে আড়তে আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ১৫-২০ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মো. জুয়েল বলেন, ‘আমরা শুনেছি, উত্তরবঙ্গে আলুর আগাম আবাদ বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে।’
মৌসুমের এ সময়ে বাজারে হিমাগারের আলু ও আগাম আবাদ হওয়া আলু বাজারে আসে। ঠাকুরগাঁও সদর মাদারগঞ্জ এস,বি কোল্ড স্টোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোকন সাহেব বলেন, আলুর আগাম আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবছেন এ বছর আগাম আলু পুরোদমে বাজারে আসতে দেরি হবে। এতে তাঁরা হিমাগারে রাখা পুরোনো আলু বাজারে ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা ধীরগতিতে। তিনি বলেন, এখন বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেশি। অন্যান্য সবজির দাম বেশি থাকলে আলুর দামও কিছুটা বেশি।
All rights reserved © 2020-2024 dainikparibarton.com
অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।